করোনা প্রতিরোধে স্কুল কলেজ বন্ধ হলেও চুকনগরে বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগরে সরকারী ঘোষনা মোতাবেক সকল পর্যায়ের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলে ও বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য। যে জন্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। উপজেলার চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় খবর নিতে গেলে কোচিং এর দৃশ্য চোখে পড়ে এমনকি এব্যাপারে সরকারী দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরও সেদিকে খেয়াল নেই। অথচ যেখানে করোনা প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বের মানুষ ব্যস্ত। সেখানে এই কোচিং সেন্টার গুলো পরিচালিত হচ্ছে নির্বিঘেœ। গত ১৬ ই মার্চ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সকল পর্যায়ের স্কুল কলেজ বন্ধের ব্যাপারে ঘোষনা আসে এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারংবার বলা হচ্ছে স্কুল কলেজ বন্ধের ঘোষনা।

কারন সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যেন বাড়িতে অবস্থান করে সেখানে কোচিংয়ের জায়গায় একসাথে ১৫-২০ জন এমনকি তারও বেশি শিক্ষার্থীদেরকে একসঙ্গে জমায়েত করে কোচিং করানো হচ্ছে। অথচ এই ছোয়াচে ভাইরাচ থেকে নিরাপদ রাখার জন্য কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাময়িকের জন্য স্থগিতও করা হয়েছে। এব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ গুলোকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি কোচিংয়ের বিষয়গুলোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের এব্যাপারে নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন। এদিকে কোচিংয়ের একটা সূত্র বলছে কোচিংয়ের ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে খুব বেশি চাপ না থাকায় তারা নিশ্চিন্তে কোচিং পরিচালনা করছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চুকনগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে একটা দূর্যোগ শুরু হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে সরকার সকল প্রকার গন জামায়েত এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা সহ মুজিব শতবর্ষ পালনের অনেক প্রোগ্রাম স্বল্প পরিসরে পালন করেছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এক জায়গায় জমায়েত করে কোচিং করানোর অর্থ সরকারের বিপক্ষে চ্যালেজ্ঞ ঘোষনা করা। তাই আমি মনে করি এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন স্কুল কলেজ বন্ধের পাশাপাশি কোচিং চলানোর কোন সুযোগ নাই। আমরা যদি জানতে পারি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই। তাহলে তাদেরকে কোচিং বানিজ্যের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ আবু সুফিয়ান রোস্তম বলেন, স্কুল কলেজ বন্ধ হওয়ার কারন এটা একটা ভাইরাস জনিত রোগ। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে অন্য সুস্থ ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে। তারপরও যদি কোচিং চলে তাহলে সেখানে ছাত্র ছাত্রীরা জমায়েত হবে। এর ফলে করোনা ঝুকি থেকেই যাবে আর এর প্রভাব অনেক ভয়াবহ হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্কুল,কলেজ ও কোচিং সেন্টার সবকিছু বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে। তারপরও যদি কেউ কোচিং চালায় আর আমরা জানতে পারি তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস