“ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন“-কপিলমুনিতে গৃহবধূ পপির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কৌতুহল

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৯ | আপডেট: ১০:১২:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

কপিলমুনি প্রতিনিধিঃ
কপিলমুনির নগরশ্রীরামপুর গ্রামের গৃহবধু পপির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। সুদর্শনা গৃহবধু পপির সাথে সেদিন কি ঘটেছিল যে তার লাশ পাশের একটি ডোবা থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নাকি স্বামী লাভলুর পরকিয়ার কারণে জীবন দিতে হলো তাকে। এমন নানান প্রশ্ন এখন এলাকার সর্বত্র প্রচার পাচ্ছে। এদিকে ঘটনার পর গৃহবধু পপির বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের কারণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
একাধিক সূত্র বলছে , গৃহবধু পপির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো কিন্তু ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য কিভাবে অনুমতি দেওয়া হল, তাহলে কি পপির মৃত্যু নিয়ে আগাম তদবীর বা প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের জন্য একটি গ্রুপ তৎপর ছিল? এলাকাবাসীর মন্তব্য ময়না তদন্ত হলেই গৃহবধু পপির মৃত্যু অস্বাভাবিক কিনা, কেউ হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলেছে কি না বা মৃত্যুর সময় সেদিন কি ঘটেছিল তা ময়না তদন্তে স্পষ্ট হতো। কিন্তু তার আলামত নষ্ট করতেই ময়না তদন্ত ছ্ড়াাই লাশ দাফন করা হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য মোটা অংকের মিশন নিয়ে মাঠে নামে স্বামী লাভলু গাজীসহ একটি কুচক্রীমহল। গৃহবধূ পপির মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তারা জোর প্রচেষ্টা চালায় এবং সফল হয়। সূত্র জানায়, গৃহবধূ পপির পিতৃ পরিবারকে মামলা না করতে কুচক্রী ঐ মহলটি হুমকি প্রদান ও চাপ সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘পপির মাতৃকুলের কেউ মামলা করতে চান নি। তবে আমরা তদন্ত করছি, তারা গরীব মানুষ অহেতুক হয়রানী হবে এজন্য ময়না তদন্ত করা হয়নি।’
প্রসংগত, গত সোমবার দু’ সন্তানের জননী পপি বেগম (২০) দুপুর বেলায় এক প্রতিবেশীর পুকুরে গোসল করতে যায়। এদিন সন্ধ্যার একটু আগে ঐ পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক