এনএটিপি ফেজ-২ এর সহায়তা পাচ্ছে তালার ২৪টি সিআইজি মৎস্য সমিতি

প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০ | আপডেট: ১০:১৫:অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

উন্নত পদ্ধতীতে মাছ চাষ করে চাষীরা যাতে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে এজন্য তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে সিআইজি সমিতির অধিভুক্ত ২৪টি পুকুরে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি) ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় যথাযথ ভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তালা উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে, সিআইজি ভুক্ত পুকুরের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৬০ কেজি মাছের পোনা, ৪ হাজার ৮শ কেজি খাদ্য ও ২৪টি সাইনবোর্ড বিতরন করা হয়। উপজেলা মৎস্য অফিস চত্বর থেকে সমিতিগুলোকে মাছের পোনা, খাদ্য ও সাইনবোর্ড বিতরন অনুষ্ঠানে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তালা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার মো. মশিউর রহমান। এছাড়া মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা সহ উপকারভোগী ২৪টি সিআইজি মৎস্য সমিতির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী জানান, দেশে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গ্রাম পর্যায়ের দরিদ্র ও সাধারন মৎস্য চাষীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৬ বছর মেয়াদের প্রথম ফেজ সফলতার সাথে বাস্তবায়ন হবার পর দ্বিতীয় ফেজে তালা উপজেলায় ৩বছর ধরে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ২৪টি সিআইজির ৪৮০ জন চাষীকে এবং নন সিআইজি ৩৬০ জন চাষীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে উপজেলার সিআইজিগুলোর নির্ধারিত ২৪টি পুকুরে বরাদ্দ অনুযায়ী উন্নত প্রযুক্তির কার্প জাতীয় মাছের প্রদর্শণীর ১টি করে সাইনবোর্ড, ২০০ কেজি করে মানসম্পন্ন মাছের খাদ্য ও ৪০ কেজি করে উন্নত জাতের পোনা মাছ প্রদান করা হয়। মাছ চাষের সাথে উন্নত প্রযুক্তির প্রদর্শণীর মালামাল যুক্ত হওয়ায় এ আর্থিক বছরে সিআইজি মাছ চাষীরা অধিক লাভবান হবে।

এদিকে, তালা উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রচেস্টায়, উপজেলা বালিয়া সিআইজি মৎস্য সমিতি লিমিটেড ও শ্রীমন্তকাটী সিআইজি মৎস্য সমিতি লিমিটেডকে “এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন ফান্ড-২” এর অধিন থেকে ২ টি পিকআপ ক্রয়ের জন্য ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার চেক ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়। পিকআপ’র আয় থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সমিতির সদস্যরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্ষম হবে। কিন্তু একটি মহল তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য এই প্রকল্পের উন্নয়নমূখি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে বলে একটি সূত্র অভিযোগ করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

এমএ মান্নান। তালা, সাতক্ষীরা