আশাশুনির ৮৮ বছরের বৃদ্ধার দাবী একটি ভাতা কার্ড

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০ | আপডেট: ৮:১০:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজোর সদর ইউনিয়নের শবদলপুর গ্রামের ৮৮ বছরের বৃদ্ধা চন্দনা সরকার আর কত বয়স হলে পাবেন বার্ধক্য বা বিধবা ভাতা ? সাত বছর আগে তার স্বামী পতিত পাবন সরকার মারা গেছেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জননী তিনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

থাকেন অসুস্থ ছেলে জয়দেব সরকারের কাছে। জয়দেব ও তার স্ত্রী সুলতা সরকারও অসুস্থ। জয়দেবের মেয়ে পুষ্প রানী সরকার খলিষানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। বাবা মায়ের সঙ্গে ঠাকুর মাকে তিনিও দেখভাল করেন। তাই এখনো পর্যন্ত কোন রকমে বেঁচে আছেন চন্দনা সরকার।
স্থানীয়রা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, বাকী তিন ছেলে ও মেয়েরা সবাই অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল। কিন্তু তারা তেমন কোন খোঁজ খবর নেন না তাদের মাকে।

তবে, অসুস্থ জয়দেব অর্থিকভাবে অস্বচ্ছ হলেও তিনি তার মাকে ঠিকমত দেখাশুনা করেন। আর অর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারণে তিনি তার তার মায়ের কাপড় চোপড়ও ঠিক মত কিনে দিতে পারেননা। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরদের বলেও তার একটি বিধবা বা বার্ধক্য ভাতার কার্ড আজ পর্যন্ত জোটেনি। এমনকি প্রচন্ড শীতে তিনি একটি কম্বলও পাননি।

আর তাই ছেলে জয়দেব সরকারের জিজ্ঞাসা, আর কত বয়স হলে তার মা বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পাবেন ? এ নিয়ে হতাশ তার ছেলে জয়দেব ও পুত্রবধু সুলতা সরকার।
তবে, স্থানীয় আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সাত্তার জানান, শুধু কম্বল কেন, তাকে বার্ধক্য ভাতার কার্ডও দেয়ার ব্যাপারে তিনি এবার উদ্যোগ নেবেন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক