আশাশুনিতে বিদ্যুৎ লাইন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আশাশুনির পল্লীতে ইউপি সদস্য কর্তৃক বিদ্যুৎ লাইন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্ধশতাধিক গণস্বাক্ষরিত দুর্নীতি দমন কমিশনার দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া ও বাইনতলা গ্রামের থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার অধিক বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

 

স্থানীয়রা আরো জানান, ক্ষমতার জোরে সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করছে। সরেজমিনে উপস্থিত হলে ওই এলাকার স্থানীয় ফারুক সানা, তাপস মন্ডলসহ অন্যান্যরা সাংবাদিকদের  জানান, ইউনিয়নের বিশিষ্ট নেতার ছত্রছায়ায় ধূর্ত সুচতুর ইউপি সদস্য মৃত নিরোধ গাইনের পুত্র নীলকন্ঠ গাইন জনপ্রতি ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা করে আদায় করেছেন। কিন্তু সে আবারো ৬৫০ টাকা করে জনপ্রতি দাবি করছে টাকা না দিলে কেউ মিটার পাবে না বলে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান আমরা দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর আগে উক্ত টাকা মেম্বারকে প্রদান করি কারণ ইউপি সদস্য আমাদেরকে বলেন বিদ্যুৎ অফিসে আমার নিকটতম আত্মীয় আছে কিছু খরচ খরচা দিলে দ্রুত বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ করে দেবে।

 

আমরা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার কথা ভেবে রাজি হই কিন্তু ইউপি সদস্য আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ধোকা দিয়েছেন। কিন্তু এখন আমরা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা ২০২০ সালের ভিতর সকল জনগণের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে সেই লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উক্ত সুচতুর অর্থলোভী ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পুঁজি করে আমাদের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যাহার সম্পূর্ণ আইন বিরোধী।

 

পাটকেলঘাটাস্থ সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী পরেশ চন্দ্র মন্ডলের বক্তব্য, পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানার জন্য এক টাকাও লাগে না তবে হ্যাঁ মিটার লাগানো বাবদ সরকারি ফি ৪০০ টাকা সেটা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি শুনলাম তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন এর কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি কারোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ এর নাম করে টাকা নিয়নি, কিছু কুচক্রী মহলের লোক আছে তারা আমাকে এহো প্রতিপূর্ণ করার জন্য লেগেছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন করণা সংকট বিপদগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা।