আশাশুনিতে দুর্গাপূজার ডিউটিতে আনসার নিয়োগে ঘুষ আদায়

প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৪২:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা:
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ডিউটির জন্য নিয়োগকৃত আনসারদের কাছ থেকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা করে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুজার ডিউটিসহ বিভিন্ন নির্বাচনে আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিবার এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এনিয়ে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় রিপোর্টও হয়ে থাকে। এবছরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম নিয়মিত হলেও ভবিষ্যতে নিয়োগ না পাওয়ার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে চাননা। কেউ মুখ খুলতে তার উপর নেমে আসে নানা হুমকী। তখন তারা তাদের নাম ব্যবহার না করতে সাংবাদিকদের কাছে অনুনয় বিনয় করে থাকেন। তারপরও সাংবাদিকরা অনিয়মের ব্যাপারে কিছু তথ্য ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছেন। ১ম কিস্তিতে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে দুর্গা পূজায় আনসার সদস্য অঙ্গিভুত করার কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
শোভনালী ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার ডাঃ আবুল হোসেন। তিনি আনসার নিয়োগে ইউনিয়নের মূল ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি উপজেলায় টিআই পদ মর্যাদার অধিকারীদের কাছে তালিকা প্রেরন করেন। সেখান থেকে জেলায় নাম পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক আনসার সদস্যের নিকট থেকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে অগ্রিম ঘুষ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা সাংবাদিকদের কাছে জবানবন্ধি দিয়েছেন। (কিন্তু তাদের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হলোনা)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক আনসার সদস্য বলেছেন, শোভনালী ইউনিয়ন কমান্ডার টাকা না দিলে তালিকাভুক্ত করা হবেনা সাফ জানিয়ে দিয়ে, কারও কথায় কর্নপাত না করে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে সর্বনিন্ম ১০০০ টাকা থেকে শুরু দেড় হাজার টাকা করে নিয়েছেন। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করেছে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া পুরাতন সদস্যদের মধ্যে সুচিত্রা সরদার, লতিফ মোড়ল ও গয়জদ্দীন সরদার রয়েছেন। শুধু তাই নয় অনিয়মের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোটার বাঁকড়া গ্রামের ছোবহান মোড়লের মেয়ে ফাহিমাকে (আদৌ বাঁকড়া গ্রামে ভোটার নয়) ১৫০০ টাকার বিনিময়ে আনসার ডিউটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ইউনিয়ন কমান্ডার ডাঃ আবুল হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পারিষদ ও উপজেলা নির্বাচনেও ১০০০ টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার নিজের নাম, নিজের মেয়ের নাম ও নিজের ছেলের নাম একসাথে আনসার ডিউটিতে অন্তর্ভুক্ত করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার সহজ সরল মানুষ অনেক বার প্রতিবাদ করায়ও তিনি কারও কথায় গুরুত্ব দেননি। বরং তাদেরকে আমি এভাবেই টাকা নেব কারও কিছু করার থাকলে করতে পারেন। এমন জবাব দিয়ে আস্ফালন করে থাকেন। ডাঃ আবুল হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, তিনি কারো থেকে এ ব্যাপারে টাকা নেননি। প্রমান হলে যে সাজা হয় মেনে নেবেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:গো:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক