আইনের শাসন বাস্তবায়নে তালা ইউএনও’র ছুটে চলা

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯ | আপডেট: ১০:২৯:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯

এম,এ,মান্নান, তালা:
কর্দমাক্ত পথ, সবুজ ধানক্ষেতের আইল, কখনোবা বিল মাড়িয়ে খালে, অবৈধ দখলদার পেশীশক্তি বিরোধী উচ্ছেদে ইতিমধ্যেই সাধারণের মনে সাড়া জাগিয়েছেন এক নক্ষত্র। আইনের সুশাসন, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত ও সামাজিক সুরক্ষা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তালা উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন তিনি। কখনো প্রবাহমান খালে অবৈধ নেট-পাটা, দখলদার উচ্ছেদ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অব্যাহত রাখতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োগ করছেন আইনের শাসন। আবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ফুটপাত দখলমুক্ত করে সাধারণের চলাচলের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন। কেবলই তাই নয়, হতদরিদ্র, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের খোঁজখবর নিতে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করছেন। আইনের সুশাসন বাস্তবায়নে কতিপয় স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের গাত্রদাহ হলেও সর্বত্রই ভূয়সী প্রশংসায় প্রশংসিত হয়ে সাধারণের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

বলছিলাম এমনই একজন ব্যক্তির কথা। যিনি আর কেউ নন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। গত ২৯ জুলাই এ মহানুভব মানুষটির পদার্পন ঘটে উপজেলাবাসীর আশীর্বাদ হয়ে। যোগদান করেই অনিয়মের বেড়াজাল ভাঙতে শুরু করেছেন এক বন্ধুর পথ অতিক্রম। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে জনসচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ সহ পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অন্যতম দুগ্ধপল্লী তালার জিয়ালা নলতায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দুগ্ধ উৎপাদনের দায়ে খামারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিয়েছেন। তালার মাগুরা, জালালপুর, খলিষখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রবাহমান খালে নেট-পাটা ও খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষের অপরাধে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক নিরবিচ্ছিন্ন পানির প্রবাহ সৃষ্টি করেছেন। এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টায় জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র উপজেলার অন্তর্ভুক্ত পাটকেলঘাটা বাজারের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে নামেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম এর সহায়তায় থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের অংশগ্রহণে ভ্রাম্যমান আদালত চলমান রাখা হয়।

এসময় ৩ টি আইনে ৯ টি মামলায় ১২ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উচ্ছেদ করা হয় বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ঐতিহাসিক কেন্দ্রবিন্দু ৫ রাস্তা মোড়ের অবৈধ স্থাপনা। সাথে সাথে সাধারণের উদ্দেশ্যে হ্যান্ড মাইকে নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দেন জনসাধারণের ভোগান্তি নয়, সুশাসন নিশ্চিতে সকল অবৈধ দখলদার নিজে থেকেই স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আগামীতে জরিমানার পাশাপাশি জেলও হতে পারে। এই ধারাবাহিকতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে এ অভিযান বলবৎ রাখা হয়। এ অভিযানের প্রেক্ষিতে জনসাধারণের মনে স্বস্তির নিশ্বাস আসলেও দখলদারদের মনে এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। একই দিনে সকাল ৯ টায় জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া গ্রামের কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি কার্গো জাহাজ আটক পূর্বক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে। সবমিলিয়ে অপরাধীদের জন্য মুর্তিমান আতঙ্ক তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। সর্বসাধারণের জন্য হয়ে উঠেছেন এক আস্থার প্রতীক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, কথায় নয় আমি কাজে বিশ্বাসী। তালাকে একটি অনন্য উপজেলা ও একটি মডেল উপজেলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের ঐকান্তিক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকলে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এমএ মান্নান/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক