কপিলমুনির সেলুন ব্যবসায়ীদের দূর্দশার সীমা নেই

দোকান বন্ধ তাই পুরো ১ মাস ধরে কোন আয় নেই, তাই না খেয়ে না দেয়ে বড্ড বিপদে আছেন পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারের সেলুন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সাহায্যের আবেদন করেও অসহায় শ্রমজীবিদের ভাগ্যে আজো সরকারী সাহায্য জোটেনি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরাধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। যার ফলে কাঁচাবাজার, চাউলের দোকান, মুদি দোকান, সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। এ অবস্থায় ক্ষুদ্র এই সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা (নরসুন্দর) বিপাকে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ ছুটিতে অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণার পর বেশিরভাগ নরসুন্দর নিজ নিজ বাড়িতে রয়েছেন। ফলে অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে এই তাদের। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নরসুন্দরদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কপিলমুনি বাজারের ৪০ জন সেলুন দোকানী রয়েছেন। নিদারুন কষ্ঠের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন তারা। সেলুন ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই একেবারেই দরিদ্র ও প্রতিদিনকার কাজের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তারা পড়েছেন বড্ড বেকায়দায়। পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটছেন, অথচ সরকারীভাবে কোন সাহয্য আজও দেওয়া তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেলুন কর্মী বলেন, ‘প্রতিদিন দোকানে আসি লোকের চুল কাটি, দেড় ২‘শ টাকা পাই আর তাতেই চলে আমার কষ্টের সংসার। কিন্তু দোকান বন্ধ রয়েছে তাই আমার আয় ও বন্ধ। বাজার করবো কি দিয়ে খাবো কি কিছুই জানি না।
কপিলমুনি সেলুন ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীল কোমল বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমাদের সমিতির ৪০ জন সদস্যের সকলেরই দোকান বন্ধ। এতো দিন ধার দিনা করে খেয়েছি, এখন আর কেউ ধার দিচ্ছে না, তাহলের আমাদের চলবে কিভাবে। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সাহায্যের জন্য একটা দরখাস্ত দিয়েছিলাম কিন্তু কোন সাহায্য আসেনি।
সমিতির সভাপতি তুষার কুমার বলেন, ‘আমাদের কেউ কেউ এলাকাভিত্তিক সামান্য কিছু সাহায্য পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। আমরা দিন আনি দিন খাই। তাই বিপদে সদস্যদের বাঁচাতে এমপি মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।