সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২১ | আপডেট: ৫:৫৪:অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২১

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় স্বামী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।  রোববার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মেহেরুন্নেছা (৪০)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর স্ত্রী। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৮ সালে আশাশুনি উপজেলার জব্বর মোল্লার মেয়ে তালাক প্রাপ্ত মেহেরুন্নেছার(২০) সঙ্গে একই উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জহির সরদারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ি জাকির হোসেন  সরদার ওরফে ছোট বাবুর (৪৪) বিয়ে হয়। বিয়ের পরও মোবাইল ফোনে মেহেরুন্নেছা তালাক দেওয়া স্বামীর সঙ্গে কথা বলতো।

এ নিয়ে মেহেরুন্নছা ও ছোট বাবুর বিরোধ চলে আসছিল। জোরালো আপত্তি করায় মেহেরুন্নেছা তার স্বামী ও শ্বশুড়ি আলেয়া বেগমকে খুন করার হুমকি দেয়। ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সূযোগে ঘরের মধ্যে খাটের উপর শুয়ে থাকা স্বামী ছোট বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মেহেরুন্নেছা। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজাহারুল সরদার বাদি হয়ে মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক মনোজ কুমার নন্দী ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে মেহেরুন্নেছা পালিয়ে যায়।

মামলার নথি ও ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামী মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রোববার বিকেল চারটার দিকে তাকে উপরোক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেন। আদেশ প্রদানকালে আসামী মেহেরুনন্নেছা কাঠগোড়ায় ছিলো না।

আসামীপক্ষে সর্বশেষ মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জিএম আবু বক্কর ছিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স