সংবাদ সম্মেলন করেও শেষ রক্ষা হয়নি কপিলমুনির গৃহবধু নাজমার

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯ | আপডেট: ৬:২৩:অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

কপিলমুনি(খুলনা) সংবাদদাতা:
কপিলমুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শেষ রক্ষা হয়নি নাজমার। পবিত্র রমজান মাসে পাষন্ড হায়েনার দল শারীরিক নির্যাতনের পর বিষ প্রয়োগে গৃহবধূ নাজমা (২৮)কে হত্যা করেছে। এ অভিযোগে পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ১৯, তাং ২০/০৫/২০১৯ ইং। ঘটনায় পুলিশ নাজমার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে। নাজমা কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী হরিঢালী ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের লিয়াকত মীরের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের পিতা কালু মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নামে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন স্বামী লিয়াকত আলী, ভাসুর সাকাত আলী, শ্বশুর রাজ্জাক মীর , চাচা শ্বশুর সাজ্জাদ আলী মীর, দেবর হাসান আলী, শাশুড়ি আকলিমা বেগম, খালা শাশুড়ি মম বেগম।
নাজমার পিতার অভিযোগ, জামাতা ও তার মা-বাবা যৌতুকের জন্য মেয়েকে প্রায়ই চাপ সৃষ্টি করত। বিয়ের পর ৮ বছর ধরে তাকে নানাভাবে অত্যাচার করছে। শনিবার দুপুরে নাজমাকে তার শাশুড়ি আকলিমা বেগম, খালা শাশুড়ি মম বেগম মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে তার গালে বিষ দিয়ে হত্যা করে বলে থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়। এ ব্যাপারে নিহতের শ্বশুরের পরিবার জানায়, তাকে কোন প্রকার অত্যাচার করা হয়নি। সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালা থানার মাধ্যমে লাশটি ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
পাইকগাছা থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ বলেন, নাজমার পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে সব কিছু জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বিগত ৫ নভেম্বর ১৮ ইং তারিখে নিহত নাজমা স্বামী সংসার ফিরে পেতে, স্বামী, শশুর, ভাশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে কপিলমুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক