রাজগঞ্জে করোনায় গৃহকর্মীর মৃত্যু, দাফনে তাকওয়া টিম

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২১ | আপডেট: ৫:২৪:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২১

ঢাকায় অন্যের বাসায় কাজ করা অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন মণিরামপুরের রাজগঞ্জে আছিরন বেগম (৬৫)। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভাল চিকিৎসা না হওয়ায় রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে তাকে নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওয়ানা হন স্বজনরা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

পথিমধ্যে সোমবার (১২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান আছিরন বেগম। আছিরন বেগমের বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে। তার স্বামী সন্তান কেউ নেই। বহুবছর ধরে তিনি গ্রামের এক প্রতিবেশীর মেয়ের ঢাকার বাসায় কাজ করতেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পিতা মৃত মোবারক মোড়লের ভিটেয় দাফন হয়েছে আছিরনের।

 

বৃদ্ধার দাফন কাজে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন তাকওয়া ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির যশোর টিমের সমন্বয়ক নাসিম খানসহ আট সদস্য কাজে অংশ নেন। তারা হলেন, সদস্য ইউসুফ আলী, তাহমিদ খান, বিএম আতাউল্লাহ, মুকিত খান, সাইফুল ইসলাম, নাজমা বেগম ও মুক্তা খাতুন। স্থানীয় ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু এসময় উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। আছিরন বেগমের বোনের ছেলে শাহিন হোসেন বলেন, খালা ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করতেন। করোনা আক্রান্ত হলে এক সপ্তাহ আগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেখভালের সমস্যা হওয়ায় রোববার রাতে তাকে যশোরে আনছিলাম। পথিমধ্যে ভোর সাড়ে তিনটার দিকে মারা গেছেন খালা।

তাকওয়া ফাউন্ডেশনের যশোর টিমের সমন্বয়ক নাসিম খান বলেন, আছিরন বেগমের স্বজনরা আমাদের জানান মৃতের কাফন দাফনের জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে আমরা টিমের আট সদস্য আছিরন বেগমের গোসল ও দাফন কাফনে অংশ নিই। গত বছর করোনায় মৃত্যু শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত যশোর জেলায় আমরা ২৬ জনের দাফনকার্য সম্পন্ন করেছি। ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সোমবার ভোরে মারা গেছেন আছিরন বেগম। আমি উপস্থিত থেকে মল্লিকপুরে পিতার বাড়িতে তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর