মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ছাড় নেই: কলারোয়ার ওসি মুনীর

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০ | আপডেট: ১:৪৩:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বলেছেন- ‘মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় নেই। মাদক শুধু একটি জীবনকে নষ্ট করে না বরং একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি দেশকে ধ্বংস করে দেয়।’ মাদক ছেড়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন- ‘যারা মাদক ব্যবসা ও সেবন করে তারা সংশোধন হয়ে যান। নয়তো সমাজ এবং আইন আপনাদের ক্ষমা করবে না।’ দেশব্যাপী চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয়ে তুলে ধরে বুধবার সকালে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।

ওসি শেখ মুনীর জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন- ‘কেউ কারো বিরুদ্ধে ফেসবুকে হয়রানীমূলক ও আপত্তিকর কোন মন্তব্য করবেন না। মাদক, নাশকতা, জঙ্গি, বাল্যবিবাহ ও চোরাচালান প্রতিরোধ করতে মসজিদে খুতবায় সচেতনতা করতে হবে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর কিংবা সন্দেহজনক ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক ভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করতে হবে।’

কলারোয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ইতোমধ্যে সৎ ও আস্থাভাজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা। যশোরের সন্তান ওসি শেখ মুনীর কলারোয়া থানায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনবান্ধব ও ন্যায়নিষ্ঠার প্রতীক রূপে প্রতীয়মান হয়েছেন। ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’- শীর্ষক প্রতিপাদ্যটি শুধু
আক্ষরিক অর্থে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবতায় রূপ দিতে কাজ করে চলেছেন এ কর্মকর্তা। পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের ‘কিছু নেতিবাচক’ ধারণা ও মনোভাব ‘অনেকটা ইতিবাচক’ হয়েছে কলারোয়া থানা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তার নানান কর্মকান্ডে। প্রধান কর্মকর্তা সৎ ও স্বচ্ছ থাকলে অধীনস্থ অন্যরাও যে সঠিকপথে থাকতে পারে সেটা কলারোয়ায় এরইমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে বলে সাধারণ জনগণ মনে করছেন।

ওসি বলেন- ‘মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজেদের নিরাপদ থাকতে ও রাখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কোন পরিবারের একজন সদস্য যদি মাদকাসক্ত হয় তবে ওই পরিবারটি সমাজ থেকে পিছিয়ে যায়।’

মাদকের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন- ‘মাদকের খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডিলার, সে যেই হোক, তাকে এ ব্যবসা ছাড়তে হবে। যেই হোক, যাই হোক, যেখানেই হোক কেউ আমাদের অপারেশনের বাইরে নয়। সাঁড়াশি অভিযানে মাদকের শিকড় উপড়ে তুলে নিয়ে আসবো। যারা পর্দার অন্তরালে থেকে মাদকের অর্থ যোগান দিচ্ছে, মাদককারবারীদের আশ্রয়-প্রশয় দিচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

শান্তিপ্রিয় কলারোয়াবাসীকে মাদক, সন্ত্রাস ও নাশকতামুক্ত থাকতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক