মাগুরাঘোনায় ফ্লিমি কৌশল অবলম্বন করে ১কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২০ | আপডেট: ৮:৫৬:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২০

মাগুরাঘোনায় ফ্লিমি কৌশল অবলম্বন করে প্রায় ১কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আমজাদ হোসেন নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় একের পর এক পাওনাদাররা বাড়িতে এসে টাকা চাওয়ার কারণে তার আপন ছোট ভাই পাওনাদারদের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলায় তাকে জীবননাশের হুমকী দেয়া হয়। নিরুপায় তিনি বড় ভাইয়ের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য তার ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং-৭৪৩৩,তারিখ-১৭/০৬/২০২০ইং। এছাড়া পাওনাদাররা আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাসহ একাধিক স্থানে অভিযোগ দায়ের করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের আরশনগর গ্রামের আফসার আলী শেখের পুত্র ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিবুল ইসলাম শেখ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার আপন বড় ভাই আমজাদ হোসেন শেখ(৪৫)পূর্বালী ব্যাংক লিঃ চুকনগর শাখার তার নামীয় সততা এন্টার প্রাইজ নামের চলতি হিসাব নং-৪৫১৮৯০১০০১৩৯১এর স্বাক্ষরিত চেকের পাতা নং-২২০৯৪৬৭ দিয়ে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান চৌধুরীর পুত্র সেলিম চৌধুরীর নিকট হতে নগত ৪৩লক্ষ ৮০হাজার ৫শত টাকা ব্যবসার জন্য নেয়। উক্ত টাকা নিয়ে ৩জনে ধান চাউলের ব্যবসা শুরু করি। কিছুদিন যেতে না যেতেই বিবাদী আমাদের কোন হিসাব কিতাব না দিয়ে তার ইচ্ছামত ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকে।

 

এমতাবস্থায় আমি ও আমার মালিক সেলিম চৌধুরী বিবাদীর বাড়িতে গিয়ে ব্যবসার হিসাব নিকাশ চাই। তখন বিবাদী আমাদেরকে কোন হিসাব দিবে না এই মর্মে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করসহ পরবর্তীতে আর কোন দিন হিসাব চাইতে আসলে খুন জখম সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার হুমকী দেয়। এছাড়া মহসিন হাবিব চৌধুরী বাদী হয়ে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে খুলনা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

ইউপি সদস্য রাজিবুল ইসলাম আরও বলেন, বিবাদী আমজাদ হোসেন খুলনার আতিক হাসানের কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা, নাভারণের আলাউদ্দীনের কাছ থেকে ১৩লক্ষ ৭০হাজার টাকা, পাটকেলঘাটার আলফাজ উদ্দীনের কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা, আঁঠারমাইল বাজারের কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ১৩লক্ষ টাকা, আরশনগর গ্রামের কামরুল মোল্যার কাছ থেকে ১৩লক্ষ টাকা, রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে জমি বিক্রয়ের কথা বলে ২লক্ষ টাকা, হামিদ মোল্যার কাছ থেকে জমি বিক্রয়ের কথা বলে ৪লক্ষ টাকা, বারিক শেখের কাছ থেকে বাকীতে ধান ক্রয় করে ৫লক্ষ টাকা নিয়ে হজম করে ফেলেছে। যার একটি টাকাও তিনি ফেরত দেয়নি।

 

এঘটনায় কামরুজ্জামান ও কামরুল মোল্যা সহ একাধিক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এব্যাপারে আমজাদ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্দ পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা