মহান বিজয় দিবসের স্মরনে

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯ | আপডেট: ৩:২৮:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯

মহান বিজয় দিবসের স্মরনে
…………….সরদার এম.এ মজিদ……………

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সন এই দিন ছিল এক বিভীষিকাময়,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মত জীবন উৎসর্গকারী এমন নেতা পাওয়া দায়।
সামরিক জান্তা, পাক হানাদারের হটানো যাহার নের্তৃত্বে এসেছিল বিজয়,
বিশ্বের সেরা মহান নেতা তার স্মৃতি থাকবে এই ভূবনময়।
বিজয়ের ঘন্টা বাজলো যখন পাক হায়নাদের হইল পতন,
শত কষ্ট, দুঃখ, বেদনা বুকে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠল তখন।
অশ্রু স্বজল আউলা কেশ স্বজন হারানোর সেকি পরিবেশ,
লক্ষ প্রানের রক্তের বিনিময়ে মোরা পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ।
জাগ্রত বাঙালী আর মিলিটারী সম্মুখে ছিল সেদিন রণতরী,
বিজয় উল্লাসে আতœহারা জীবন মরনের পরোয়া না করি।
জন্মভূমির স্বদেশ প্রেমে যুদ্ধ করব বলে এগিয়ে চলি,
পিছু হটলে মোরা বিধবে গুলি আর সামনে চললে হতে হবে বলি।
পাক সেনাদের ছিল শেষ ছোবল, দেশ ছেড়ে কত করছে পলায়ন,
দিবা-নিশি ছিল কত অনাহারে, সহায় সম্বল আর থাকল গৃহায়ন।
পথে ঘাটে ধরছে যারে পাক হায়নারা ইজ্জত মেরে আবার লুণ্ঠন করে,
দুঃখের কথা বলবো কারে, দিশেহারা হয়ে কত মরছে অনাহারে।
সেদিন সাধু বেশে কত দরবেশ, ব্যাংক, দোকান আর কত গৃহে করেছে প্রবেশ,
সোনা দানা অর্থ সম্পদ লুণ্ঠন করে আজ দেশ দরদী বলে করে সমাবেশ।
শেখ সাহেবের অভয় বাণী শুনে ছুটে এসেছিল শিশু কিশোর যুবকেরা,
দেশ স্বাধীনের বিরোধীতা করছে যারা, এদেশে ক্ষমা পাইবে না তারা।
এ বিজয় ছিল হাসি কান্নায় ভরা মেনে নিয়ে ছিল সেদিন বরণ করে,
সেই বিজয়কে আনতে যেয়ে মানুষ মরছে প্রায় ঘরে ঘরে।
বিজয় অর্জনের জন্য যাহারা জীবন বাজী রেখে সম্মুখে করেছিল যুদ্ধ,
সেই বীর সেনানীদের স্মৃতি এদেশে থাকবে কারুকার্য্য।
গণহত্যা মুক্তিযুদ্ধে আর বিজয় নিশান উড়াতে হারায়েছে যত তাজা প্রান,
বিশ্বের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে ভবিষৎ প্রজন্ম তাদের করবে স্মরণ।

 

 

বাস্তববাদী লেখক ও গবেষক : সরদার এম.এ মজিদ
পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা
মোবাইল নং- ০১৭২৩৯১২৭৪১


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক