পাটকেলঘাটায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ: হত্যার চেষ্টা, জখম ৮, গ্রেফতার- ১

প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ | আপডেট: ৯:৩৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
আটক জামাল সরদার।

জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুরে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুত্ব জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে ভুক্তোভুগীরা। প্রধান আসামী জামাল সরদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরজমিনে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মির্জাপুর বাজারের পাশে বাড়ি করার জন্য জমি ক্রয় করে ডুমুরিয়া থানার বাসিন্দা গাউস ফকির(বর্তমানে মির্জাপুরের বাসিন্দা)। তার ক্রয় করা জমির আইলে বরিং (স্যালো মেশিন) বসানো ছিল মির্জাপুরের মৃত এবাদ আলী সরদারের ছোট ছেলে কামাল সরদারের। মেশিন উঠানোকে কেন্দ্র করে শত্রুতা শুরু হয়। গাউসের ক্রয় করা জমিতে বাড়ী-ঘর তৈরী করিতে দিবে না হুমকি দেয় তারা।

এদিকে, গত শনিবার(১২ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিতে সরকারি রাস্তা দিয়ে ট্রলিতে ইট নিয়ে গেলে বাধা দেয় মৃত এবাদ আলী সরদারের বড় ছেলে জামাল সরদার(৫৫) ও কামাল সরদার (৫০)।

 

এ সময় জামাল সরদারের নির্দেশে কামাল সরদারের বড় ছেলে আরাফাত সরদার(২২) ও রিফাত সরদার (২০), মৃত বোরাহাদি সরদারের ছেলে আবুল হোসেন (৫৬) সহ অজ্ঞাত অনেকে গাউস ফকির ও ট্রলি চালকদের শাবল দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে গাউস ফকিরের মাথায় আঘাত করে। ট্রলি চালক মনিরুজ্জামান, মুছা মহলদার, মাসুম হোসেন, আছান মোড়ল, ইয়াছিন আলী ও হাবিবুর মোড়লকে লাঠি, বাশ, ইট ও এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মেরে আহত করে। গাউসের স্ত্রী তাহমিনা খবর পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আসামীরা এবং তাদের স্ত্রীরা তাকেও মারপিট করে এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।

আরও জানা গেছে, ইট ক্রয়ের জন্য গাউসের পকেটে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে নেয় কামাল সরদার। এছাড়া ইট বোঝাই করা ৬টি ট্রলি ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশ আহতদের হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠায় এবং ট্রলি উদ্ধারে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের কাজে বাঁধা দেয় জামাল সরদার। ট্রলি আটকিয়ে রাখে।

জানা গেছে, পুলিশ মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে শনিবার থানায় ডাকলেও আসামী পক্ষ উপস্থিত হয়নি। এ ঘটনায় রবিবার পাটকেলঘাটা থানায় মামলা হয়। মালমা নং- ৪।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, প্রধান আসামী জামাল সরদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স