পাইকগাছায় বনায়নের চরভরাটি জমি দখল করে চিংড়ি ঘের

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৫১:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাইকগাছা(খুলনা):
পাইকগাছায় সামাজিক বনায়নের চর ভরাটি জমি দখল করে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দখলকারীরা পরিকল্পিত ভাবে গোল ঝাড় নষ্ট করে দিচ্ছে। সুফল ভোগীদের অভিযোগ, উপজেলা বন কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে প্রতিকার মিলছেনা।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ সালে উপজেলার লতা ইউপির হাড়িয়া মৌজার ১৮/১৯ নং পোল্ডারে শিবসা নদীর চর ভরাটি প্রায় ১০০ বিঘা সরকারী জমিতে সবুজ বনায়ন গড়ে ওঠে। এখানে গোলপাতা, কেওড়া, বাইন, কাকড়া, সুন্দরী,ওড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। সৃজিত বনভুমি সংরক্ষণ ও গবাদীপশু নিয়ন্ত্রনের জন্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কবিরউদ্দিন নিজ হাতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। শিবসা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এ বনভুমিকে এলাকাবাসী মিনি সুন্দরবন নাম দিয়েছে। ইতোমধ্যে যেখানে বিভিন্ন পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। হাড়িয়া চর বনায়ন সমিতির সভাপতি গৌতম রায় ও সম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস বাবু বলেন, উপজেলার মঠবাটী গ্রামের ছইল উদ্দিন সরদার, ঘোষাল গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজী ও খবির গাজী, রেজাউল ইসলাম বনায়নের একটি অংশে চিংড়ি ঘের করছে। ঘোষাল গ্রামের এমদাদুল নামের এক ব্যক্তি চিংড়ি ঘের পরিচালনা করছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ইতোপূর্বে পরিবেশ বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সর্বশেষ ২৭ মে ২০১৯ ইং তারিখে খুলনা ৬ (পাইকগাছা-কয়রার) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবুর কাছে অভিযোগ করেন। এর প্রক্ষিতে এমপি বাবু তদন্ত পূর্বক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোন কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। বরং একে একে উজাড় হয়ে বন, বাড়ছে চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা। অন্যদিকে লবণ পানি আটকে থাকায় বিভিন্ন গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ঘের মালিক এমদাদুল হক বলেন, আমি আব্দুল্লাহ গাজী ও খবির গাজীদের কাছ থেকে ডিড নিয়ে চিংড়ি চাষ করছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন বনায়নের সময় কেউ সম্পত্তি দাবী করেনি কিন্তু এখন দখলদাররা তাদের সম্পত্তি দাবী করছে। যা যুক্তিযুক্ত নয় বলে তিনি মনে করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক