পাইকগাছার নৈর নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ

প্রকাশিত: ৯:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ | আপডেট: ৯:২২:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাইকগাছা(খুলনা):
পাইকগাছার চাঁদখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জলবদ্ধতা নিরসনে নৈর নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে এলাকাবাসী শনিবার সকালে এ বাঁধ অপসারণ করেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদখালী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার হতে কাঁটাবুনিয়া পর্যন্ত অবস্থিত নৈর নদী এলাকার পানি নিস্কাষনের অন্যতম মাধ্যম। অত্র নদী দিয়ে চাঁদখালী, ঢেমশাখালী, কাঁটাবুনিয়া, ফেদুয়ারাবাদ, কমলাপুর, মৌখালী, গড়েরআবাদ, পূর্ব গজালিয়া ও গজালিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার পানি নিস্কাষন হয়ে থাকে। নদীর ইজারাদার গোলক বিভিন্ন লোক দিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালুর বস্তা দিয়ে নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে খন্ড খন্ড করে মৎস্য চাষ করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাষন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। হাজার হাজার বিঘা জমির কৃষি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকায় এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে জিএম ইকরামুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকাবাসী শনিবার সকালে নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, গাউছুল আজম, হাফিজুর রহমান, কংকন সানা, আল-আমিন, নূর মোহাম্মদ, বাপ্পি গাজী, নাইম ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, শফিকুল মিস্ত্রী, শাহিন আলম ও কবিরুল ইসলাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ নদীর চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় হযরত ঢালী, মোস্তফা কামাল, মিনারুল মোড়ল ও জলিল ঢালী সহ কয়েকজন ব্যক্তি বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করায় এলাকার পানি নিস্কাষন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক