চুকনগরে জোরপূর্বক মৎস্য ঘেরে পঁচা দূষিত পানি তুলে দেয়ার অভিযোগ: ৬লক্ষ টাকার মাছ নষ্ট

প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯ | আপডেট: ৭:২৮:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

চুকনগর(খুলনা) প্রতিনিধি:
এ কেমন শত্রুতা ! চুকনগরে শত্রুতামূলকভাবে ও জোর পূর্বক একটি মৎস্য ঘেরে পঁচা দূষিত পানি তুলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৬লক্ষ টাকার মাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে। এঘটনায় ৫জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
প্রাপ্ত মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্রনাথ সরদারের পুত্র স্বপন কুমার সরদার ও একই উপজেলার শিবপদ ঘোষের পুত্র প্রশান্ত কুমার ঘোষ যৌথভাবে আটলিয়া ইউনিয়নের বয়ারসিং ওয়ার্ডের গেলাপদাহ অধীনস্থ বছরে বিঘা প্রতি ১০হাজার টাকা হারি দিয়ে প্রায় ২৬০বিঘা জমির উপর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে চাষ করে আসছে। কিন্তু তাদেরকে মৎস্য ঘের হতে বিতাড়িত করার হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মোতাবেক ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার ভয়ভীতি সহ হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে বিবাদীরা। এরই জের ধরে গত ১৭জুলাই ভোর ৫টার দিকে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘেরের ভেড়ীর প্রায় ১শ গজ পূর্ব পার্শ্বে গেলাপদাহ ১৭/২নং পেন্ডারের ২নং সুইচ গেটের বন্ধ খালের কালভার্টের কপাট উঠিয়ে এবং তাদের মৎস্য ঘেরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বন্ধ খালের পঁচা পানি জোরপূর্বক মৎস্য ঘেরে তুলে দেয়। উক্ত পঁচা ও দূষিত পানি তাদের ঘেরে যাওয়া মাত্রই ঘেরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬লক্ষ টাকার মাছ মরে নষ্ট হয়ে যায়। জোর পূর্বক ঘেরে পঁচা পানি তুলে দেয়ার সংবাদ শোনা মাত্রই বাদী ঘটনাস্থলে এসে এভাবে জোরপূর্বক মৎস্য ঘেরে পঁচা পানি তুলে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জীবন নাশের হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। নিরুপায় হয়ে ঘের ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার ঘোষ কোন সংঘর্ষে না গিয়ে এলাকায় শান্তিশৃংখলা রক্ষার্থে এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চ্যাংমারী গ্রামের শিবপদ মন্ডলের পুত্র অমল কুমার মন্ডল(৩৪), ভোলানাথ মন্ডল(৪৮) ও তপন কুমার মন্ডল(৪২), বড় মুড়ুবুনিয়া গ্রামের পূর্ণচরণ বিশ্বাসের পুত্র প্রজিত বিশ্বাস (৩২) এবং চ্যাংমারী গ্রামের মৃত কিরণ চন্দ্র সরদারের পুত্র কার্তিক চন্দ্র সরদার(৪৩)এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় (১৮নং) একটি মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে মামলার ৫নং আসামী কার্তিক সরদার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। মামলার বাদী প্রশান্ত ঘোষ বলেন,অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক আমাদের ঘেরে দূষিত পঁচা পানি তুলে দিয়ে ৬লক্ষ টাকার মাছ মেরে দেয়ার কারণে থানায় অভিযোগ করার পর এসআই সিরাজুল ইসলাম সরজমিনে তদন্তে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলা এজাহার করেন।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক