দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১ | আপডেট: ৯:১১:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
চুকনগরে ঘেরের আইলে অফ-সিজন তরমুজ চাষ ও সিম চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি উৎপাদনের সম্ভক্ষনা অনেক। ইতোমধ্যে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভূট্রা, বার্লি, সূর্যমুখী ও শাক-সবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততা সহিষ্ণু উন্নতজাত ফসল উদ্ভাক্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উপকূলবর্তী বিপুল এলাকার সকল চাষীদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে। চাষিরা এসব ফসলের চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় নতুন করে কৃষি বিপ্লব ঘটবে। এ এলাকার মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়বে। মানুষের জীবনযাত্রা মানের কাঙ্কিত পরিবর্তন ঘটবে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রোববার সকালে চুকনগরের বরাতিয়া স্কুল মাঠে ঘেরের আইলে আগাম সিম চাষ, অফসিজন তরমুজ চাষ, সামার টমেটো চাষ সরজমিনে পরিদর্শন শেষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রায় ২৫ ভাগ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হত। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকী সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকত। এই প্রতিকূল ও বিরুপ পরিবেশে বছরে কিভাবে ২/৩বার ফসল চাষ করা যায় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি। ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরও সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়। সেচের পানির সমস্যা দূর করতে খুলনা, বাগেরহাটে ৬শ এর বেশি খাল খনন করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএডিসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড শেখ মোঃ বখতিয়ার, খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মাহাবুব হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনিরুজ্জামান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওবাইদুর রহমান, অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, সম মুস্তাাফিজুর রহমান দুলু, ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ রায়, জিএম ফারুক হোসেন, প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ, সরদার শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কৃষি অফিসার মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর মন্ত্রী শহীদদের স্মরণে চুকনগর বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ১০হাজার তালগাছ রোপনের শুভ উদ্বোধণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা