চুকনগর বাসষ্টান্ডে বিশৃংখলভাবে যানবাহন চলাচল: জনভোগান্তী চরমে

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯ | আপডেট: ৩:২৩:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগর বাসষ্টান্ডের চার রাস্তার মাঝখানে জরুরী ভিত্তিতে একটি ট্রাফিক আইল্যান্ড দেয়ার প্রয়োজন। এখানে কোন ট্রাফিক আইল্যান্ড না থানায় একদিকে অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়কের উপর গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ন ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। রাস্তা চলাচলে চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছে জনগন।
চুকনগর শহরটি খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার মিলনস্থল নামে খ্যাত। এ শহরটিকে বিভাগীয় শহর খুলনার প্রবেশদ্বার বলা হয়। শহরটি খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, নওয়াপাড়া ও কয়রা-পাইকগাছা এই ৫টি জেলা শহরের সাথে সংযুক্ত। এখানে রয়েছে ৬টি তফসিল ব্যাংক, ঐহিত্যবাহী ২টি কলেজ, বেশ কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসা, একটি ভূমি অফিস, একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্র, একটি ইউনিয়ন পরিষদ, একটি ডাক বাংলো, দেশের স্বনামধ্য আব্বাস হোটেল সহ শতাধিক হোটেল রেষ্টুরেন্ট, ২০/২৫টি বে সরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান, প্রায় ৫০টির মত মোটর সাইকেল শোরুম, রয়েছে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, গরু ছাগলের হাট, কাঁচামালের আড়ট ও মৎস্য আড়ট। রাজধানী শহর ঢাকায় যাওয়া আসা করার জন্য প্রায় শতাধিক পরিবহন গাড়ি এ শহরের উপর দিয়ে দিনরাত চলাচল করে। নদী পথে নওয়াপাড়ায় যে মালামাল নামানো হয় তা শহরের উপর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব কারণে অন্যান্য শহরের তুলনায় এ শহরের উপর দিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনেক বেশি। কিন্তু এখানে একটি ট্রাফিক আইল্যান্ড না থাকায় যানবাহন গুলো ট্রাফিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত চলাচল করছে। বাস, ট্রাক, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক নসিমন ও করিমন ইত্যাদি গাড়ি গুলো নিজেদের ইচ্ছামত মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা নামার কাজ করছে। এতে করে প্রতিনিয়ন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পথচারীরা রাস্তা চলাচলে চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছে। প্রতিনিয়ন ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। ইতোমধ্যে এ শহরে দূর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। বাসষ্টান্ড জুড়ে চার রাস্তার দুই পাশে রাখা হচ্ছে ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন-করিমন ও মাহেদ্রা গুলো। এতে করে বড় গাড়ি গুলো মহাসড়কের পাশে কোন জায়গা না পেয়ে মহাসড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা নামানোর কাজ করছে। এছাড়া চুকনগর শহরে প্রবেশ পথে মহাসড়কের উপর কোন স্পীড ব্রেকার না থানায় যানবাহন গুলো নিজেদের খেয়াল খুশিমত বাহাদুরী দেখানোর জন্য অত্যন্ত দ্রুত গতিতে শহরে প্রবেশ করছে। এতেও দূর্ঘটনা সহ জনমতে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি যতিন কাশেম রোডটির দুই পাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক অবৈধ্য স্থাপনা। বাদামতলার মোড়ে মোটর সাইকেল ষ্ট্যান্ড করে দুই পাশ দিয়ে ব্রীজ রোড পর্যন্ত মোটর সাইকেল ও ইঞ্জিনভ্যান রাখার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি প্রায় বন্দ করে দেয়া হচ্ছে। তাই উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে শহরবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে চুকনগর বাসষ্টান্ডের চার রাস্তার মাঝখানে একটি ট্রাফিক আইল্যান্ড করা হোক। এব্যাপারে চুকনগর গণহত্যা ৭১স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি ও ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু চুকনগর শহরটি যশোর, সাতক্ষীরা, নওয়াপাড়া, খুলনা ও কয়রা-পাইকগাছা ৫টি জেলা শহরের সাথে সংযুক্ত। সেহেতু এ শহরের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের চাপ অনেক বেশি। ২টি স্থল বন্দর বেনাপোল ও মোংলা এবন্দরে আসা যাওয়া সকল ধরণের মালামাল বোঝায় যানবাহন এ শহরের উপর দিয়ে চলাচল করে। তাছাড়া যশোর, খুলনা, পাইকগাছা, কয়রা, সাতক্ষীরা, শ্যামনগর আশাশুনির সকল লোকজন এ শহরের মহাসড়কের উপর দিয়ে চলাচল করে। সার্বিক দিন বিবেচনা করে এই মুহুর্তে এখানে একটি আইল্যান্ড করা একান্ত প্রয়োজন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক