চুকনগরে সুন্দরবুনিয়া ব্রীজের বেহাল দশা: দূর্ঘটনার আশংঙ্কা

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২০ | আপডেট: ৭:৪৪:অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগরে সুন্দরবুনিয়া পুরাতন লোহার ব্রীজটি (কাঁঠালতলা-মাগুরখালী) সড়কে মাঝ বরাবর ভেঙ্গে গেছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণে আতংকে রয়েছে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের মানুষ।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কে সুন্দরবুনিয়া নদীর ওপর একটি বেইলী ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। এরপর প্রায় ৩০বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই ব্রীজটি আর কখন সংস্কার করেনি। ইতোমধ্যে ব্রীজটির লোহার পাত গুলোর প্রায় সব অংশই মরিচা পড়ে নষ্ট হতে শুরু করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের সময় গ্রামীণ অবকাঠামের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে সত্য। কিন্তু কাঁঠালতলা-মাগুরখালী সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে দাঁড়ালেও সুন্দরবুনিয়া নদীর উপর নির্মিত সেই পুরাতন ব্রীজটির দিকে কারোর নজর নেই। একারণে যে কোনো সময় দুর্বলপূর্ণ ব্রীজটি ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পাওে বলে আশংঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
বিশেষ করে বিভিন্ন প্রয়োজনের তাগিদে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনয়নের অভ্যন্তরে সুন্দরবুনিয়া ওই ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে খুলনা-যশোর, সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় পল্লী-শ্রী ও স্বর্ণ-দ্বীপ কলেজ ও বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক-প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাগুরখালী ও মাদারতলা এ দু’টি পুলিশ ক্যাম্পে যেতে হয়। তাছাড়া মাগুরখালী, শোভনা, মাগুরাঘোনা, খর্নিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কের ওপর নির্মিত ব্রীজ। এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি-মৎস্যসহ নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে এই অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ও এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে চুকনগরের আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় জানান, মুলত সুন্দরবুনিয়া ব্রীজটি দ্রুত নষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে ভাটার ইট বোঝাই ট্রাক চলাচলের ফলে ব্রীজের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে দুইবার ব্রীজটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন ব্রীজটি ভেঙে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পাবে। জনস্বার্থে সরকারি অর্থায়নে ব্রীজটি সংস্কারের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিত দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, এটা সাপোর্টিং রুলার ব্রীজ নামক প্রকল্পের অধীনে রিপ্রেসমেন্ট হিসাবে নথীভুক্ত আছে। যা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক