চুকনগরে ঘুষখোর ও চালচোর চেয়ারম্যান প্রতাপ রায়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধব

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০ | আপডেট: ১:৫২:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০
খুলনার চুকনগরে আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ১০ ঘটিকায় চুকনগর বাসস্ট্যন্ড চত্বরে এ মানববন্ধব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুকনগরে আটলিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের যৌথ উদ্দোগে মানববন্ধব কে সফল করার লক্ষ্যে অংশ করেন।  মানববন্ধব বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির মিলটন, আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা এম কামাল হোসেন, আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান লিটন,ইউপি সদস্য কুলসুম  বেগম পারুল ,  আটলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম বাবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হুসাইন, এম এম ইয়াছিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবু। 
 
 
বক্তব্যে তাঁরা বলেন ৫ নং আটলিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। শুধু মাত্র  তাঁর কারনে অত্র এলাকাতে মানুষ আওয়ামিলীগের চেয়ারম্যান কে ছি ছি করছে। এতে করে আমাদের দলীয় ইমেজ নষ্ট করছে। এ কারনেই আমরা তাকে দল থেকে এখন চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি করছি।
 
 
উল্লেখ্য: ঘুষ কেলেঙ্কারী চেয়ারম্যান ও আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ কুমার রায় এর বিরুদ্ধে  খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর  একাধিক ব্যক্তির  লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ করেছেন ৫ নং আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী এস এম কামাল, ও আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান  লিটন  এবং নরনিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের গাজী।  এর  আগে প্রতাপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে চুকনগর মডেল মহিলা কলেজের এম পি ও করে দেবার নামে নগদ ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর  স্থানীয় এম পি বাবু নারায়ণ চন্দ চন্দ্র স্যারের জোর  নির্দেশে উক্ত টাকা থেকে গত ২১,০৭,২০২০ তারিখে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ এবং ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোছাঃ শাহানাজ বেগমের উপস্থিতিতে ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা ফেরত দেবার জন্য সময় নেন। এই ঘটনাটি একাধিক পত্র পত্রিকায়, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এমন নেককার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাবাসির মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। 
 
 
উল্লেখ্য, খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর যারা অভিযোগ করেছেন তাঁর সব গুলোতেই ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত এই ৫ নং আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ কুমার রায়। 
 
এলাবাসির জানায়, তিনি চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে করোনা কালিন এই মহামারীর সময়েও চাল চুরি করেছেন। তাছাড়া সরকারী সব অনুদান থেকেও তিনি তার পকেট ভারি করেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বিপুল পরিমানের অর্থের মালিক। চুকনগর শহরের মত যায়গায় তিনি বাড়ি কিনেছেন ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে।
 
অভিযোগের ভিত্তিতে আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান লিটন সহ অন্যান্যরা বলেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আক্তারুজ্জামান লিটন গাজী, পিতা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম গাজী, গ্রাম নরনিয়া , উপজেলা ডুমুরিয়া।  চুকনগর মহিলা কলেজে পিয়ন পদে চাকুরীরত ছিলাম । আমার শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায়, কলেজে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন ।
 
পরবর্তীতে উক্ত কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে উক্ত চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য নতুন  সভাপতির শরণাপন্ন হই। চাকরি ফিরে পেতে আমার নিকট ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন আমি পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে সম্মতি পোষণ করি । গত ২৭/০৭/২০১৮  তারিখে বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে গাজী এন্ড খান মার্কেট এর ভিতর সাক্ষীগণের সম্মুখীন প্রতাপ কুমার রায় আমার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। অনেকদিন যখন অতিবাহিত হতে লাগলে তখন চেয়ারম্যান মহোদয়, আমি চাকরির বিষয় বললে তালবাহানা শুরু করেন। আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত অবস্থা আশঙ্কাজনক, অবস্থায় দিন যাপন করতে থাকে কিছুদিন পর আমি চাকরি টাকা ফেরত চাইলে আমাকে প্রশাসনের হুমকি-ধামকি ও চাঁদাবাজি মামলার ভয় দেখায়।
 
এছাড়াও অন্য অভিযোগে রয়েছে ভিন্ন ভাবে  ঘুষ বাণিজ্যে করার অভিযোগ।

আপনার মতামত লিখুন :

মোঃ ইমরান হুসাইন। নিজস্ব প্রতিবেদক। ডুমুরিয়া, খুলনা