গেজেটভুক্ত কেশবপুরে ৪৩মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০ | আপডেট: ৮:৩৫:অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের পর কেশবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয় দল দু‘টির কয়েকজন নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এরপর তারা ২০০৫ সালে যশোরের কেশবপুরে নতুন করে ৪৩ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম গেজেটভুক্ত করেন। অবিলম্বে তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে কেশবপুর প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কেশবপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলি দাবি করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা প্রত্যেকে লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় ট্রেনিং এর সনদ প্রাপ্ত। লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি আরও জানান,তারা অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম সহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা অভিযুক্তদের সাথে কোন অনুষ্ঠানে যাননি। লিখিত বক্তব্যে আরও দাবি করা হয় ‘অভিযুক্তরা সরকারি ভাতাও সুবিধা নিতে ৩ শত টাকার ষ্টাম্পে সই করে সমাজসেবা দপ্তরের মাধ্যমে সুবিধা নেয়। যাচাই বাছাই শেষে তাদের সনদ প্রমান না করতে পারলে তারা টাকা ফেরত দিবেন মর্মে অঙ্গিকার পত্র দেন।’ বর্তমান সরকারের আমলে ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু করার পর ২০১৪ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর ৬২তম সভার সিন্ধান্তের আলোকে অভিযুক্তদের মধ্যে কেশবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যকুল গ্রামের মৃত আব্বাজ আলী গাজীর ছেলে মোঃ লুৎফর রহমানের গেজেট নাম্বার ২৬৫৯ বাতিল করা হয়।

২০০৯ সালে কেশবপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসিফ মাহমুদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে ৪৩ জন অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধার প্রয়োজনীয় স্বাক্ষ্য প্রমান ও সনদপত্র যাচাই বাছাই করেন। ৪৩ জন অভিযুক্ত গেজেটধারি মুক্তিযোদ্ধার কোন প্রকার স্বাক্ষী আনতে বা কোন্ সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জানাতে পারেননি বলে তদন্তের সময় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয়ের কাছে দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, ফজলুর রহমান, শাহাবুদ্দীন, রশিদুল হক, আমির আলী, লিয়াকত হোসেন, আদিত্য কুমার দত্ত, আবুল হাসান খান সহ মুক্তিযোদ্ধারা।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক