কেশবপুরে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা পেল ১৭ হাজার কর্মহীন পরিবার 

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০ | আপডেট: ৯:০১:অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০

যশোরের কেশবপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে থাকা ঘরবন্দি ১৭ হাজার কর্মহীন ও অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ৬৬ হাজার পরিবার রয়েছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সরকারি নির্দেশ মেনে কেশবপুরের মানুষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘরে থেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন। কর্ম না থাকায় পরিবার নিয়ে তারা অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। কর্মহীনদের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারিভাবে ১৮১ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার ক্রয়ের জন্য ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে ১৬ হাজার ৯০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, আলু, ছোলা ও চিনিসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

এর পাশাপাশি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ১০ হাজার ৮০০ পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, তেল, সিমাই, চিনি, চিড়া, সাবান বিতরণ করেন। অপরদিকে, কেশবপুর পৌরসভা থেকে ১ হাজার ৭২৮ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ হাজার ৬০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি পৌরসভার কর্মহীন বিভিন্ন মানুষের ভেতর ২৪ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিলেও এখনো অসহায়, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আরও ৪৯ হাজার পরিবার খাদ্য সহায়তা না পেয়ে কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা না দিলে অর্ধাহারে অনাহারে তাদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। অভিযোগ রয়েছে, বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রী একই ব্যক্তিকে একাধিকবার বিভিন্ন ভাবে প্রদান করা হয়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।

জানা গেছে, কেশবপুর এলাকায় প্রায় প্রতিবছরই বন্যার কারণে জলাবদ্ধতা কবলিত হয়ে পড়ে। যে কারণে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষসহ কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেশবপুরের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দুস্থ ও অসহায় । তারা প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে, চায়ের দোকান ও দিন মজুর দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে ১৬ হাজার ৯০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, পৌরসভা থেকে ১ হাজার ৭২৮ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কর্মহীন বিভিন্ন মানুষের ভেতর ২৪ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সহযোগিতায় পৌরবাসীর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, করোনার মধ্যে কর্মহীন মানুষের সরকারী ও বেসরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এখনও যারা খাদ্য সহায়তা পাননি তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর