কেশবপুরে মাদ্রাসার পাশে অবৈধ পোল্ট্রি খামার: শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০ | আপডেট: ৫:১৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে এসএসজি তেঘরী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার পাশে এলাকার একটি মহল অবৈধভাবে গড়ে তুলেছেন একাধিক পোল্ট্রি খামার। বর্তমান ওই খামারের দুর্গন্ধে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্টসহ শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসার সুপার হাবিবুল্লাহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে এসএসজি তেঘরী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। মাদ্রাসাটির ২৬০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্যে ১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে চলেছে। ২০০০ সালে তেঘরী গ্রামের মৃত তাজউদ্দীন মোড়লের ছেলে জসিমউদ্দীন প্রতিষ্ঠানের ৫২ শতক নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় পরাজিত হয়ে সে আবারও আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং- ৫৩/০১। দীর্ঘ শুনানী শেষে এ মামলা আদালত খারিজ করে দেয়। এরপর ২০১৬ সালে সে আবারও একই দাবিতে আদালতে একটি মামলা করেছেন। যার মিস কেস নং- ৫/১৬।

মাদ্রাসার সুপার হাবিবুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার জমি আতœসাতের লক্ষ্যে জসিম উদ্দীন ভূয়া দলিল খাড়া করেছে। যা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এতে সে সুবিধা করতে না পেরে পূর্বশত্রুতাবশত: প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের ভেতর অবৈধভাবে ৩টি পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। বর্তমান ওই খামারের দুর্গন্ধে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্টসহ শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া সে একের পর এক মাদ্রাসার স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করে ৮/১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

এ ব্যাপারে জসিম উদ্দীন বলেন, এক যুগ আগে ওই খামার স্থাপণ করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী পদে আমার ছেলে আবদুল জলিল আবেদন করেছিল। তাকে বে-আইনিভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। তাই আমি পুনরায় মামলাটি করেছি। তারা মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সামছুর রহমান বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান বা লোকালয় থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দূরে পোল্ট্রি খামার করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে খামার স্থাপণ করেছে।
কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, খামারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিরসনে ম্যানেজিং কমিটিকে ভূমিকা নিতে হবে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক