কেশবপুরে আম্ফানের আঘাতে লন্ডভন্ড লহ্মীনাথকাটি দাখিল মাদ্রাসা

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০ | আপডেট: ৩:২৮:অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে যশোরের কেশবপুরের লহ্মীনাথকাটি দাখিল মাদ্রাসা ভবনের সমস্ত টিন উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বর্তমান মসজিদে চলছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রাম। অফিস কক্ষের টিন উড়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র। এ মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের উপযুক্ত করতে হলে ৪ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ফান্ডে কোন টাকা নেই। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে এলাকাবাসির সহযোগিতায় লহ্মীনাথকাটি দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। মাদ্রাসাটিতে ইবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত ২৭০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানে ১৫ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী রয়েছেন। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫০ বছরেও মেলেনি সরকারি কোন ভবনসহ অর্থ। এলাকাবাসি ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় মাদ্রাসাটির আধাপাকা ভবন করে টিনের ছাউনি দেয়া হয়। অফিস রুম, মল্টিমিডিয়া রুমসহ ১১টি শ্রেণীর কক্ষ নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকে।
এদিকে, গত ২০ মে কেশবপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে ওই মাদ্রাসা ভবনের সমস্ত টিন উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। রাতভর বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায় অফিস কক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আসবাবপত্র। সেই থেকে পাশের মসজিদে চলছে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রাম।

নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান জানায়, তার প্রতিষ্ঠানে পয়নিষ্কাশনসহ সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা নেই। নেই কোন ওয়াস রুম। ছোট ছোট রুম, স্যাঁতসে্যঁতে মেঝে। সংকটে কারণে একই বেঞ্চে একাধিক শিক্ষার্থীদের বসতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অমনযোগি হয়ে পড়ে।
মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাটি বর্তমান নানাবিধ সংকটে রয়েছে। এর ফান্ডে কোন টাকা নেই। এরপরও সমস্ত ভবনে টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। অর্থাভাবে চেয়ার, বেঞ্চ, আসবাবপত্র দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে মাঠে সব সময় পানি জমে থাকে।

মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুস সাত্তার জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫০ বছরেও মেলেনি কোন সরকারি অর্থ। ভবনের টিন ঝড়ে উড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় তা ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সমস্ত ভবনে টিনের ছাউনি দিতে গেলে ৪ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। মাদ্রাসাটি বাঁচিয়ে রাখতে হলে এ মুহূর্তে এর নতুন একটি ভবনের প্রয়োজন। গৃহ ও আসবাবপত্র সংস্কারের জন্য অনুদান চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক আবেদন করেও কোন ফল পাইনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঝড় হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে তালিকা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এ উপজেলায় শুধু ওই মাদ্রাসাই নয় ঝড়ে আরও ১২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর