কেশবপুরে আইসোলেশনে থাকা মিলন সিংহ সুস্থ হয়ে উঠছেন

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২০ | আপডেট: ৭:১৭:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থাকা মিলন সিংহ (৫৬) সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। একই সঙ্গে থাকা তার ছেলে সর্দি, জ্বরের রোগী চন্দন সিংহ (২৫) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং মিলনের স্ত্রী শিখা সিংহও সুস্থ রয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মিলন সিংহের ছেলে তিলক সিংহ বলেন, তার বাবা মিলন সিংহকে গত রবিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ১৫ মিনিট পরেই তাকে ছাড়পত্র দিয়ে খুলনায় নিয়ে যেতে বলেন ডাক্তাররা। এরপর বাবাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরী বিভাগের ডাক্তার দূর থেকে একটি প্রেসক্রিপশন করে বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলেন। বাধ্য হয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। পরবর্তীতে খবর পেয়ে কেশবপুর থানার ওসি জসীম উদ্দীনের সহযোগিতায় বাবাকে গত সোমবার (৩০ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় দুপরে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একই দিন বড় ভাই চন্দন সিংহকেও সর্দি, জ্বরের কারণে ভর্তি করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মা শিখা সিংহকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তাদেরকে আইসোলেশন রেখে চিকিৎসা দেওয়া হলে ভাই চন্দন সিংহ ও মা শিখা সিংহ আগের থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাবাও সুস্থ হচ্ছেন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

বুধবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগে ১২৫ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নেন। এর ভেতর থেকে ৮ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বর্তমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগের চেয়ে এখন রোগী আসা-যাওয়া অনেক কমে গেছে।

জানতে চাইলে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (টিএইচও) ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, মিলনের শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভাল। তার নাক ও গলা থেকে লালা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ছেলে চন্দন সিংহ ও মিলন সিংহের স্ত্রী শিখা সিংহ সুস্থ রয়েছেন। তিনি আরও জানান, কেশবপুরে এখন ২২৪ জন বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক