কলারোয়ায় ৩২হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০ | আপডেট: ১০:০৯:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আগামি ১১জানুয়ারি ৩১হাজার ৭০০শত ৩২জনের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ওই সভার আয়োজন করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. বেলাল হোসেন, ডা. ফাহদী আল মাসুদ, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, এমটিইপিআই রেজোয়ান উল্ল্যাহ, সাংবাদিক জুলফিকার আলী প্রমুখ। সভায় উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এ বছর উপজেলায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ও ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৭০০শত ৩২জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষে আগামী ১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমুহে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। ৬ হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা হতে রক্ষা করে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমায়। শিশুকে হাম ও মারাত্বক অপুষ্টি হতে দূরে রাখে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক