কপিলমুনি বাজারটি পেরিফেরীর বেড়াজালে আবদ্ধ

প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০১৯ | আপডেট: ৮:১৮:অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০১৯

এইচ এম এ হাশেম, কপিলমুনি(খুলনা) সংবাদদাতা:

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

# উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ
# সীমাহীন ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা
# দেখার যেন কেউ নেই

পেরীফেরীর বেড়াজাল কপিলমুনি বাজারটিকে আজ ৩৪ বছর আবদ্ধ করে রেখেছে। অনেক জনপ্রতিনিধি এ বেড়া জাল থেকে মুক্ত করার কথা বললেও সে কথা কেউ রাখেননি। ফলে বলির পাঠা হয়ে বাজারটির হাজারো ব্যবসায়ী কোন রকমে খুপড়ী ঘরে ব্যবসা করে চলেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, দক্ষিণ খুলনার অন্যতম দানবীর স্বর্গীয় বিনোদ বিহারী সাধু ১৩৩৯ সালে কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজারটি স্থাপন করেন। সে সময় মহান এই দানবীর নিজের অর্থ ব্যয় করে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের কাছে তা হস্তান্তর করেন। রায় সাহেবের উৎকর্স সমিতিতে সে সময় ব্যবসায়ীরা দোকান ঘরের ভাড়া প্রদান করতেন। এরপর ১৯৮২ সালে এক প্রজ্ঞাপনে কপিলমুনি হাট-বাজার পেরীফেরী ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে ভূমি অফিস জানায়। সেই থেকে এ বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান ঘরের ভাড়া দিতে পারছেন না। এক দিকে শতাধিক বছরের পুরানো জরাজীর্ণ টিন সেট আর কাঠের ঘরে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন, অন্যদিকে আধুনিক দোকানপাট না থাকায় বাজারের শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে না। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শেখ আব্দুল গফুর বলেন, টিন সেটের খুপুড় দোকান ঘরে যুগযুগ ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। যখন দোকান সংস্কারের প্রয়োজন হয় আর তখনই বাধে বিপত্তি, অফিসের পক্ষ থেকে স্রেফ জানিয়ে দেওয়া হয় ঘর সংস্কার করা যাবে না, কারণ এই সম্পত্তি পেরীফেরীর অন্তর্ভুক্ত। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির সময় বাজারের অর্ধেকাংশ তলিয়ে যায়। রোদ বৃষ্টি ঝড় আর মরা কপোতাক্ষের পানির কাছে যখন পুরাতন ওই জীর্ণঘর গুলি অসহায় আর তখন পেরীফেরী নামক বেড়াজালের কাছে ব্যবসায়ীরাও বড়ই নিরুপায়। দোকান ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ক্রমেই ঘর সংস্কারের অনুমতি দেন না। ফলে মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় এখানকার ব্যবসায়ীদের। গুঞ্জন রয়েছে, যদিও দু’ একটি ঘর সংস্কার ও পুণঃনির্মাণ করা হয়েছে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দেনদরবার করে। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ, দেশ স্বাধীনের পর থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েক বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা সরেজমিনে এসে খোঁজখবর নিয়ে আশ্বাস দিয়ে গেলেও অবহেলিত প্রচীন জনপদে অবস্থিত কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বাজারটির পেরিফেরী অবমুক্ত সহ উন্নয়নে অদ্যবধি কেউ এগিয়ে আসেন নি।

কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, বাজারের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু বাজারের জায়গা ও দোকান ঘর নির্মাণ করেছিলেন নিজস্ব অর্থায়নে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একটা প্রজ্ঞাপন জারী করে এটা পেরীফেরী অন্তর্ভুক্তি করা হয়। ফলে দোকান সহ বাজারের উন্নয়ন থমকে দাঁড়ায়।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক