কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের ভাঙ্গাচোরো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৯ | আপডেট: ৯:১০:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এইচ এম এ হাশেম, কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি:
ভবনটি যে সেকালের; তা বোধহয় বাইরের দিক থেকে তাকালে বুঝতে দেরি হয় না। প্রায় ৫ যুগ ধরে এই ভবনটিতে অসংখ্য মানুষের সেবা নিশ্চিত হলেও ভবনের সেবায় এগিয়ে আসেনি কেউ। সারা দেশে দৃষ্টি নন্দন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন তৈরী হলেও এখানে তার ব্যতিক্রম। আজও সেই কাঙ্খিত উন্নয়ন বঞ্চিত ২নং কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।
সরেজমিনে দেখাযায়, ৫ শতক জমির উপর ১৯৬০ সালে স্থাপিত দ্বিতল ভবনটির দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, মাথার উপর ছাদ তাও ভেঙ্গে পড়ছে। দোতলায় ৪টি কক্ষ, যার মেঝেতে খোয়া ও বালি উঠে গেছে অধিকাংশ জায়গায়, কোন কোন জায়গায় ঢালাইয়ের নষ্ট রড বেরিয়ে উঁকি মারছে। নিচতলার ৩ টি কক্ষ পরিত্যাক্ত যেখানে বর্তমানে সাপ পোকা মাকড়ের বসবাস। জানালাগুলো তাও ভেঙ্গে গেছে। তারপরও ২২ গ্রামের মানুষ নিত্য সেবা নিচ্ছেন এই ইউনিয়ন পরিষদের এই ভবন থেকে। একেবারেই যেন বাধ্য হয়ে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বর, সচিব ও সাধারণ মানুষ নিত্য কাজ মেটাচ্ছেন। ভবনটির নিচে ৫ টি দোকান ঘর বরাদ্ধ দেওয়া রয়েছে, তারাও ব্যবসা পরিচালনা করছেন জীবনের শংকা নিয়ে। ভবনের অবস্থাটা এমন যে যেকোন সময় ধ্বসে গিয়ে বড় ধরনের প্রাণহানী দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, একটি আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মানের জন্য ৫০ শতক জমি প্রয়োজন হয়, কিন্ত সেখানে রয়েছে মাত্র ৫ শতক জমি, যার ফলে আটকে রয়েছে আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ। এদিকে জরাজীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইতোপূর্বে একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছিল। এরপর আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করার তাগিদে ওই ভবনের একটি কক্ষ সংস্কারের জন্য খুলনা প্রশাসক বরাবর আবেদন দাখিল করা হয়। খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদসহ সরকারে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিদর্শন করেছেন অনেক বার। সে সময় তাঁরা একটি আধুনিক ভবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি।

ইউপি ভবনে সেবা নিতে আসা অখিল বন্ধু মন্ডল বলেন, খুটি নাটি বিভিন্ন কাজে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়, কিন্তু ভবনটির ভগ্নদশা দেখে মনে হয় যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে, এখানে এসে কাজ মেটানোটাও জীবনের জন্য ঝুঁকি। এমনিভাবে ভীতির কথা জানান প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে মেম্বর, সচিব ও গ্রামপুলিশ নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আধুনিক ভবনের জন্য আমরা জায়গা দেখছি, পাশাপাশি ভগ্ন এই ভবনটি দ্রুত নতুন করে নির্মাণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক