কপিলমুনির প্রধান সড়ক যেন যানবাহন স্ট্যান্ড

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৯ | আপডেট: ৮:০৭:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এইচ এম এ হাশেম, কপিলমুনি(খুলনা) প্রতিনিধি:
কপিলমুনির প্রধান সড়ক যানবাহন স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ইচ্ছে খুশি মত জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কে যানবাহন রাখায় চলাচলে মারাত্মক বিঘœ ঘটে চলেছে। এমন চিত্র দীর্ঘদিনের, তারপরও পরিত্রান নেই এলাকার ভূক্তভোগীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা জেলার কপিলমুনি একটি বৃহত্তর বাণিজ্যিক মোকাম ও জনবহুল এলাকা। এখানে রয়েছে অসংখ্য বসতি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাজারটির বুক চিরে চলে গেছে খুলনা পাইকগাছা সড়ক, যার শেষ নেমেছে কয়রায় গিয়ে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অত্যান্ত ব্যাস্ততম গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে কপিলমুনি বাজারের অংশে যেখানে সেখানে ইচ্ছে খুশি মত রাখা হয় বাস, পরিবহন, ট্রাক, নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্র, মোটর সাইকেলসহ প্রায় সকল প্রকার যানবাহন। ফলে যাতায়াতের রাস্তা সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে দ্রুতগামী যানবাহন গুলো চলে আসছে, তাই প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। সপ্তাহে ২ দিন কপিলমুনিতে হাট বসে। আর সে দু’দিনকার অবস্থাতো আরো ভয়ানক, আধা কিলোমিটারেরও বেশি পথ জুড়ে ভয়াবহ যানজটে পড়তে হয় পথচারী ও যাত্রীদের। কপিলমুনি হাসপাতালের প্রাচীর সংলগ্ন প্রধান সড়কে চোখ রাখলেই দেখা যায় সেখানে কয়েকটি ট্রাক সব সময়ই রাস্তার উপর রেখে দেওয়া হয়। দেখলে অতি সহজেই মনে হবে এটি যেন ট্রাক স্ট্যান্ড।
স্থানীয়রা জানান, যানজট নিরসনে এখানে ৫-৬ বছর আগে প্রতি হাট অর্থাৎ রবি ও বৃহস্পতি বার ২ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করতেন ফলে যানজট অনেকটা কম ছিল, কিন্তু ট্রাফিক এখান থেকে তুলে নেওয়ায় আবারো যানজটের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
পথচারী নাছিরপুর গ্রামের মোঃ আনারুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘প্রায় সব সময় দেখি প্রধান সড়ক ও ছোট খাটো সড়কে ইচ্ছে মতো যানবাহন দাঁড়ায়, প্রধান সড়কে মালামাল ওঠানামা করায়, কেউ এদের কিছু বললে এর চালকরা তাদের দিকে তেড়ে আসে। তাই যানজট কমাতে আগে দরকার সড়কের শৃঙ্খলা, সড়কের মাঝে যানবাহন রাখা বন্ধ করা।’
নিরাপদ সড়ক চাই এর দক্ষিণাঞ্চল শাখার সভাপতি এইচ এম শফিউল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবীটা আমাদের আজকের নয়, এ দাবী ২৬ বছরের। নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ব্যাস্ততম সড়কে গাড়ী পার্কিং করা বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি বাজারে দোকানের সামনে বেঞ্চ, টেবিলসহ আসবাবপত্র রাখা হয়, শুধু তাই নয়, কিছু গ্রিলের দোকানের সামনে নছিমন করিমন রেখে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় এগুলো বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘যানজট সমস্যা নিরসনে বাইপাস সড়ক ব্যবহার করলে হয়তো কিছুটা সুফল আসবে। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধান সড়কে ট্রাক হতে রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত মালামাল লোড আনলোড করা নির্দেশ দেওয়া আছে, অন্য সময় লোড আনলোড নিসিদ্ধ।’

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক