কপিলমুনির প্রতিবন্ধী কুমার বিশ্বাস বাঁচতে চায়

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯ | আপডেট: ১০:২১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এইচ এম এ হাশেম, কপিলমুনি(খুলনা) প্রতিনিধি:
কপিলমুনির প্রতিবন্ধী কুমার বিশ্বাস বাঁচতে চায়। জীবন সংগ্রামে পরাজিত না হলেও আজ সে দূরারোগ্য ব্যাধীর আক্রমনে পরাজিত অসহায় অবোলা মানুষ। সারাটা জীবন দারিদ্রতার নির্মমতা তাকে দূর্বল করতে না পারলেও পায়ে আক্রান্ত ঘাতক ব্যাধী গ্যাংগ্রিন তাকে দূর্বল করে ফেলেছে।
জানাযায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ১নং হরিঢালী ইউনিয়নের নগরশ্রীরামপুর গ্রামে কপোতাক্ষ পাড়ের মৃতঃ সাধন বিশ্বাসের ছেলে ৫৪ বছর বয়সী কুমার বিশ্বাসের দরিদ্র জেলে পরিবারে জন্ম। দারিদ্রতার কষাঘাত তাকে স্কুলের সীমানায় যেতে দেয়নি, জাল-দড়ি ঘাড়ে করে ছোট বেলা থেকেই নিয়ে গেছে নদী বাওড় বা খালে। সারাটা জীবন সে মৎস্যজীবি হয়ে ও জীবিকা অর্জন করেছে। কিন্তু বিধি তার বাম। ১০ বছর আগে হঠাৎ প্যারালাইসিস আক্রন্ত হয়ে পড়ে কুমার বিশ্বাস। এর কয়েক বছর পর তার পায়ের তলায় একটি ফুঁসকুড়ি হয়। তারপর একটু একটু করে তার পায়ের তলায় ঘাঁ জমতে থাকে। বর্তমানে তার পায়ের ক্ষত স্থানে গর্ত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক চিকিৎসক চিকিৎসা করেছেন, কিন্তু কুমার তার সেই সুস্থ্য জীবন ফিরে পায়নি। তাকে লাঠির উপর ভর করে চলতে হয়, এ যেন তার কষ্ঠের জীবনে আর এক যুদ্ধ।
৩ ছেলে, ১ স্ত্রীসহ ৫ সদস্যের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম কর্তা কুমার আজ বড়ই অসহায়, খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন চলে তার। একটু উন্নত চিকিৎসা হয়তোবা এই প্রতিবন্ধী কুমারের (প্রতিবন্ধী আইডি নং -১৯৬৪৪৭১৬৪৪৪২২০৮১০-০২) জীবনে হয়ে আসতে পারে সুস্থ্যতার নতুন অধ্যায়। কিন্তু চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক টাকা, যা তার পরিবারে বড়ই অভাব। মাত্র ৩ শতক জমির উপর কোন রকমে মাথা গুজে জীবন কাটানো কুমার চোখের সামনে দেখে শুধু ঘোর অন্ধকার। সে প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চায়।
প্রতিবন্ধী কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সুন্দর এ পৃথিবীতে বুক ফুলিয়ে নিঃস্বাস নিতে চাই, আমি বাঁচতে চাই, সুস্থ্য হয়েই বাঁচতে চায়। আমি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছি। সরকার ও সমাজের বিত্তবানরাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আমাকে বাঁচাতে পারেন। আমাকে সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নম্বর -০১৯০৫ ৪৫৩০৬৬।’

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক