ইরি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে পারছে না কৃষকরা: ধান চাষ হুমকীর মুখে

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৯ | আপডেট: ৪:৩৭:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগরে আপার ভদ্রা নদী খনন করার কারণে ৩টি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের বিলের পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় ইরি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে পারছে না কৃষকরা। এখনো পর্যন্ত বিলের পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় এ মৌসুমে ইরি ধান চাষ হুমকীর মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা যায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, যশোর জেলার কেশবপুর ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের বিলের পানি নরনিয়া আপার ভদ্রা নদীর স্লুইচ গেট দিয়ে সরবরাহ করত। কিন্তু নদী খনন করার কারণে এ এলাকার বিলের পানি সরানো যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবি প্রথমত অত্যন্ত ধীর গতিতে নদী খনন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত নদী খনন করার জন্য একাধিক স্থান হতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এর ফলে মৎস্য চাষ করা ২৭টি বিলের পানি কোনক্রমেই সরানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে হাজার হাজার কৃষক ইরি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরি করতে পারছে না। তাদের দাবি অচিরেই নরনিয়া ভদ্রা নদীর পথ দিয়ে যদি পানি সরানো সম্ভন না হয় তাহলে কৃষকরা ধানের পাতার অভাবে ধান চাষ করতে পারবে না। এতে করে ধান উৎপাদন করতে না পারলে হাজার হাজার কৃষক পরিবারকে না খেয়ে পথে বসতে হবে। এব্যাপারে মাগুরাঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিন আমার ইউনিয়নের শত শত কৃষক তাদের জমি থেকে পানি সরানোর ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের কাছে আসছে। কিন্তু নদী খনন করার কারণে বিশেষ করে বিভিন্ন স্থান হতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ায় এলাকার বিল গুলোতে এখনও হাটু পানি। তাই উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে কৃষকদের বীজতলা তৈরিসহ ইরি বোরো মৌসুমে ধান চাষ করার সুব্যবস্থা করা হোক।

খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ পানি কমিটি ডুমুরিয়া ্উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্য্ক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি অধ্যুষিত এ অঞ্চলের মানুষ সারা বছর জলাবন্ধতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। কিন্তু এখন শুষ্ক মৌসুমেও তারা পানি বন্দী। বর্তমানে কতিপয় অসাধু ঠিকাদার তাদের খামখেয়ালীপনা মানুষিকতায় অত্যন্ত ধীর গতিতে ভদ্রা নদী খনন করছে।

এ কারণে ৩টি উপজেলার বিলের পানি নিষ্কাশন কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা ইরি বোরো মৌসুমে এখনও পর্যন্ত বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। ফলে তাদের পক্ষে ইরি ধান চাষাবাদ করা কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে কৃষকদের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভম উক্ত বিল গুলোর পানি সরানোর ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক