আশাশুনিতে জাল জন্ম সনদে চাকুরীর অভিযোগ, তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ | আপডেট: ৮:২১:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০

আশাশুনিতে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকুরি পেতে নিজের বয়স ছোট ভাই ও স্ত্রীর বয়সের চেয়ে কমিয়ে জাল জন্ম সনদ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত শুরু করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

লিখিত অভিযোগ ও কাগজপত্র দৃষ্টে জানাগেছে, উপজেলার কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের নীতিমালা ২০১২ অনুযায়ী কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত সুধাংশু শেখর সরকারের বড় পুত্র শিব প্রসাদ সরকারকে ২৮/০৩/১৩ তাং নিয়োগ দেওয়া হয়। শিব প্রসাদ তার বয়স ৩০ বছরের কমে রাখতে এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় তার জন্ম তাং ৪ বার পরিবর্তন করেছেন। ১৯৯৬ সালে জন্ম তাং ১৬/০৭/১৯৭১, ২০০৮ সালে জন্ম তাং ১৫/০২/১৯৬৮, ২০১৩ সালে জন্ম তাং ০৫/০১/১৯৮৩ এবং একই বছর খসড়া ভোটার তালিকায় জন্ম তাং ১৬/০৭/১৯৭৯ দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ভলিউমে তার জন্ম তারিখের স্থানে ফ্লুইড দিয়ে মুছে ওভার রাইটিং করা হয়েছে।

যেখানে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের প্রত্যায়িত স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর করা হয়নি। তবে শিবপদ সরকার চাকুরী পেতে তার জন্ম তারিখ দেখিয়েছেন ০৫/০১/১৯৮৩। যাতে তার বয়স ৩০ পুরতে মাত্র ৪ দিন বাকী ছিল। অথচ উপরোক্ত ভোটার তালিকাগুলোতে তার ছোট ভাই উত্তম কুমার সরকারের জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯/১১/১৯৭৫। অর্থাৎ তার ছোট ভাইয়ের থেকে তিনি প্রায় ৭ বছর বয়সে ছোট। যা রীতিমত হাস্যকর। অপরদিকে একই ভোটার তালিকায় তার স্ত্রী চায়না রানীর জন্ম তারিখ ১২/০২/১৯৮০। অর্থাৎ তার স্ত্রী তার থেকে বয়সে প্রায় ৩ বছরের বড়। আবার তার পুত্র লিটন সরকারের জন্ম তাং ১৮/১১/৯৯। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সে তার সন্তানের জন।

বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক শিব প্রসাদ পিতার বড়পুত্র বলে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। যাতে তার জন্ম তারিখে তঞ্চকীর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, মৃত সুধাংশু শেখর সরকারের দু’পুত্রের মধ্যে শিব প্রসাদ সরকার বড় পুত্র এবং ছোট পুত্র উত্তম কুমার সরকার। কিন্তু শিব বড় হয়েও চাকুরিতে বয়স কম প্রয়োজন হওয়ায় নিজের জন্ম তারিখ ছোট ভাইয়ের জন্ম তারিখের থেকে কম দেখিয়ে জাল জন্ম সনদ তৈরি করেছে। এটি আমরা তখন জানতে পারিনি। এখন গ্রামের সকল মানুষ জন্ম সনদ জালের বিষয়টি জেনে গেছে। বিষয়টি তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিব প্রসাদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও তিনি পিতার ছোট পুত্র বলে দাবী করেছেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য দিনধার্য করা হয়েছে।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স