আশাশুনিতে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২০ | আপডেট: ৯:৪৬:অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২০

আশাশুনিতে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ক কর্মশালা

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনিতে জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উত্তরণ- অপ্রতিরোধ্য প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যার সভাপতিত্বে কর্মশালায় মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মনিরুজ্জামান সমাদ্দার। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, ভূমি কমিটি, সাংবাদিক ও মৎস্যজীবিদের অংশ গ্রহনে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ও অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে আলোচনা রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, সমবায় অফিসার মোঃ করিমুল হক, মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, কানুনগু অরুন কুমার দত্ত, ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া ইকবাল, সদস্য জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি জি এম আল-ফারুক, মৎস্যজীবি সুবোধ মন্ডল প্রমুখ।

দুদক চেয়ারম্যানের স্যারের বসতবাড়ি জবর দখলদুদক চেয়ারম্যানের স্যারের বসতবাড়ি জবর দখল

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বাল্য শিক্ষক, আশাশুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মৃত শুভেন্দু রায়ের বসতবাড়ি জবর দখল হয়ে গেছে। তার শেষ ইচ্ছা ‘ভবনটিকে পাঠাগার হিসাবে প্রতিষ্ঠা’র কাজটিও বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছেনা।
সর্বজন শ্রদ্ধেয়, শান্তশিষ্ট স্বভাবের শিক্ষাগুরু শুভেন্দু রায় চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাইহাটি মৌজায় ৩৯১ নং খতিয়ানে ৩৩ শতক জমি ক্রয় করে সেখানেই বসবাস শুরু করেন। কাঠের বেড়া, খোলাদিয়ে ছাউনি ৮ চলাবিশিষ্ট একটি ঘরে ছিল তার বসবাস। ২১২ দাগে বাড়ি হিসাবে ২০ শতক ও ২১৩ দাগে বাগান হিসাবে ১৩ শতক মোট ৩৩ শতক জমি তার নামে রেকর্ডও হয়েছে। ৩৩ শতক জমির মধ্যে তাকে দেখাশুনা করার কারনে অঞ্জনা অধিকারীকে ৫ শতক লিখে দেন এবং নিমাই দেবনাথের কাছে ২২ শতক বিক্রয় করেন। বাকী ৬ শতক জমিতে তিনি বসবাস করতেন। এই বাড়িতেই তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত বসবাস করেছেন। তিনি আশাশুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকরাকালীন বর্তমান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাহেবের শিক্ষক ছিলেন। ইকবাল মাহমুদ সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের বসবাসের ঘরের অবস্থা অবহিত হয়ে চলনসই পাকা এককক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ঘর নির্মানের ব্যবস্থা করেন। যেখানে শিক্ষকের ইচ্ছামত একটি পাঠাগার স্থাপন করে এলাকার জ্ঞানপিপাসু মানুষের উপকারে আসার প্রত্যাশা ছিল। ২০১২ সালে ২৮ নভেম্বর তিনি (শিক্ষক শুভেন্দু) মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে ১৮/১১/১১ তারিখে তিনি তার কন্যা সাকিলা খাতুন ওরফে অঞ্জনা রায়কে চিঠি লিখে বাড়িতে ডেকেছিলেন। চিঠিতে “ঢাকা থেকে আমার ছাত্র (ইকবাল মাহমুদ সাহেব) আমাকে মোবাইল করেছেন—” উল্লেখ করে সাকিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অনেক কিছু বলে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর সাকিলা ওরফে অঞ্জনা পিতার শেষ ইচ্ছামত শেষকৃত্যতে ছিলেন, তার ঘরের সকল দ্রব্যসামগ্রী তার পিস্তুতো ভাই শিক্ষক উদয় ব্যানার্জী, মাস্তুতো ভাই বিশ^জিৎ চক্রবর্তী ও অরুন কুমার ব্যানার্জীকে সাথে নিয়ে মিলেমিশে ঘরে তালা আটকে রাখেন। সাকিলা, বিশ্বজিৎ ও অরুন তিনজন তিনটি চাবি রাখেন। পিতার ইচ্ছামত তারা তার বসবাসের ঘরটিকে পাঠাগার করার কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিলেন। কিন্তু মৃত কোমল অধিকারীর স্ত্রী অঞ্জনা অধিকারী কাউকে কিছু না জানিয়ে উক্ত ঘরের তালা ভেঙ্গে জবর দখল করে নিয়েছেন।
এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শিক্ষক উদয় ব্যানার্জী জানান, তার ঘরটি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ স্যার ও মুকুল সাহেব করে দিয়েছিলেন। ঘরটিতে লাইব্রেরী করার কথা ছিল। আমরা ঐজমি ভোগদখল করতে চাইনা, সেখানে তার স্মৃতি রক্ষার্থে লাইব্রেরী করতে চাই। সেটি আমরা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হোক আমাদের বাধা নেই। দুদক চেয়ারম্যানের স্যারের জমি ও ঘরবাড়ি জবর দখলের ঘটনায় এলাকার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে অবৈধ জবর দখল উচ্ছেদ পূর্বক শিক্ষকের ভিটেবাড়ি উদ্ধারের জন্য জন প্রতিনিধি, প্রশাসন এবং সর্বোপরি দুদক চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী, মৃত শিক্ষকের স্বজন ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

আশাশুনির পঞ্চরামকে হত্যা না হাটফেইলে মৃত্যু হয়েছে, এলাকায় গুঞ্জন

আশাশুনির বহুল আলোচিত পঞ্চরাম সরকার হত্যা মামলা ৩ মাস না পেরুতেই এটি হত্যা না তিনি হাট ফেইলে মারা গেছেন তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার আরজিতে দেখাযায়, উপজেলার ঝিকরা গ্রামের মৃত কানাই লাল সরকারের পুত্র পঞ্চরামকে (৫০) গত বছরের ২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তেতুলিয়া বাজারে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামী ধীরশান্ত সানা তাকে এলোপাতাড়ী কিলঘুষি মারলে অজ্ঞান হয়ে যায়। ৫.৪৫ টার দিকে স্থানীয় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এব্যাপারে থানায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু, এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার মৃত্যুর মাত্র ১২ দিন পর তার স্ত্রী জবা রানী সরকারের প্রচেষ্টায় ১৪ নভেম্বর রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন আশাশুনি অফিস হতে পঞ্চরাম সরকার হাটফেইলে মৃতবরণ করেছেন মর্মে সত্যতা যাচাই পূর্বক ঋণস্থিতি মওকুফ প্রসঙ্গে নির্বাহী পরিচালক আরআরএফ, যশোর বরাবর লিখিত পত্র প্রেরন করেন। যেখানে ৬ জন কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
পঞ্চরামকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে মামলা রুজুর পর তার স্ত্রীর প্রচেষ্টায় এবং একটি বড় এনজিও আরআরএফ কর্তৃক সরেজমিন সত্যাতা যাচাই পূর্বক তিনি হাট ফেইলে মারা গেছেন মর্মে প্রত্যয়ন এর ঘটনা এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। আসলেই কি পঞ্চরাম হাট ফেইলে মারা গেছেন? -এনিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এব্যাপারে আশাশুনি থানার ওসি (তদন্ত) ইমারত হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ভিসারা রিপোর্ট এখনো আসেনি। না আসা পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।

কুল্যায় সন্ত্রাসী স্টাইলে মারপিট করে ছিনতাই, আহত-৪

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে ডলার চক্র সন্ত্রাসী স্টাইলে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ ৯৮ হাজার ৫ শ’ টাকার মালামাল ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় প্রতিপক্ষের আক্রমনে শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুল্যা ইউনিয়নের আইতলা গ্রামের মৃত অহেদ আলি সরদারের পুত্র রবিউল ইসলাম শান্ত বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত এজহারে জানাগেছে, মহাজনপুর গ্রামের মৃত জাহাবক্স সরদারের পুত্র রেজাউল, মৃত ইঞ্জিল সরদারের পুত্র রহমত, মৃত মুজিবরের পুত্র ইয়াছিন, আঃ রহিমের পুত্র ফজলু, আইতলা গ্রামের আজহারুল, স¤্রাট ও মহাজনপুর গ্রামের ইমরান, শাহিন ওরফে কদম একাধিক মামলার আসামী ও একজন জলদস্যু ও অস্ত্রধারী। ডলার চক্রের ফাঁদে ফেলে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় তারা বাদীকে মারধর ও খুন-জখম করার ঘড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৩ মার্চ বিকালে তাকে বাড়ির পাশে ইটের সোলিং রাস্তার উপর বাঁশঝাড়ের নিচে ফাঁকা পেয়ে গালিগালাজ এবং নজুকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিস কেন জানতে চেয়ে কোমর হতে পিস্তল বের করে মাথায় আঘাত করতে যায় এবং বেদম মারপিট ও গলায় ফাঁস আটকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার স্ত্রী নাছিমা ও ভাবি মোমেনা খাতুন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও বেদম মারপিট, শ্লীলতাহানি, স্বর্ণাংকার ছিনতাই ও কোল হতে শিশু পুত্র নাছিম (৩) কে টেনে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। ফলে নগদ টাকাসহ ৯৮ হাজার ৫শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্বাক্ষীরা এগিয়ে গেলে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে আক্রমনকারীরা কেটে পড়ে। গুরুতর আহত রবিউলকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধহাটা বাজারে দোকানের মালামাল লোপাট করে দখলের অভিযোগ

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে দু’টি চালু দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল লোপাট করে দোকান ঘর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার ভোর রাতে।
বুধহাটা গ্রামের মৃত আলি বক্স সরদারের পুত্র আবুল কাশেম বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে জানাগেছে, বুধহাটা কলেজিয়েট স্কুলের দক্ষিণপাশে ১নং খতিয়ানে, ১২৭৬ নং দাগে দেড় শতক জমিতে ‘আল্লাহর দান স্টোর’ নামে কসমেটিক্স ও ‘ফারুক স্টোর’ নামে সেনেটারি ও হার্ডওয়ারের দোকান পরিচালনা করে আসছেন ফারুক হোসেন। দোকানে ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার মালামাল ছিল। দোকান দু’টির মালামাল লুট ও দোকান জবর দখলের লক্ষ্যে অভিযুক্তরা ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। ৩ মার্চ রাত্র ১১ টার দিকে তারা দোকানবন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। ৪ মার্চ ভোর সোয়া ৪টার দিকে অভিযুক্ত লিয়াকত সরদার, সাইদুল বারী, জাহিদুল, আকবর, মোস্তাক, মোজাম্মেল, তোফায়ের, জহুরুল, ইকলাচুর, ইলিয়াছ, দোকান দু’টি দখল করে মালামাল আত্মসাৎ করেন এবং দোকানে কীট্নাশক ও সার ঢুকিয়ে দিয়ে দোকানে নতুন করে তালা লাগিয়ে দখলে নিয়েছেন। বাদীসহ তাদের লোকজন ঘটনাস্থানে গিয়ে জানতে চাইলে বিবাদীরা বাঁশের লাঠি, জিআই পাইপ দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে আহত করেন। স্বাক্ষীরা উপস্থিত হলে তারা জীবন নাশের হুমকী দিয়ে তাদেরকে হাকিয়ে দেওয়া হয়। তাদের ধারণা দোকানে থাকা মালামাল তারা সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।

আশাশুনিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালন

৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন উপলক্ষে আশাশুনিতে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শুরুতে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে “প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, প্রশিক্ষক শারমিন আক্তার, আফরোজা সুলতানা, বলরাম বিশ্বাস, অফিস সহায়ক আক্তার হোসেন প্রমুখ আলোচনা রাখেন।

আশাশুনির সুন্দরবনী দরবারের উরস অনুষ্ঠিত

মানবতার কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর সুন্দরবনী দরবার শরীফের ২৯তম বাৎসরিক উরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সারারাত্র ব্যাপী দরবার শরীফ মাঠে এ উরস অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সকাল ৮.৪৫ টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে উরস শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, বজলুর রহমান পীর সাহেব সুন্দরবনী।
বুধবার বাদ মাগরিব থেকে পবিত্র কুরআন তিলায়াতের মাধ্যমে শুরু হয়ে পবিত্র উরস শরীফে পাক কুরআন খতম, জিকির আজগার, ওয়াজ নসিয়াত, তাহাজ্জুদ নামায আদায়, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সারারাত্র ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই উরস শরীফে আলোচনা পেশ করেন, দেশ বরেণ্য ওলামায়ে হযরত।

আশাশুনিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

আশাশুনিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান রাসেল ও বেগমগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জনতা ব্যাংক চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমানের উপস্থাপনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়হান সাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন ইসলাম, আশাশুনি সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ, সেক্রেটারি তানভীর রহমান রাজ, যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম ও রানা। এসময় ছাত্রলীগ নেতা এমডি রাসেল, আলামিন হোসেন, সুমন, শাহরুল, শান্ত ও মিজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

খাজরার পিএনএফ ধনীরাম স্কুলে নির্বাচনখাজরার পিএনএফ ধনীরাম স্কুলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে পিএনএফ ধনীরাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন-২০২০ উপলক্ষে অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে স্কুল হল রুমে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহনের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিভাবক সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের ৫টি পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৭২ ভোটারের মধ্যে ২১৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সুকান্তি রায় (মাছ প্রতিক) ১০৮ ভোট পেয়ে ১ম, নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (আম প্রতিক) ১০২ ভোট পেয়ে ২য়, বিধান চন্দ্র মন্ডল (চেয়ার প্রতিক) ১০২ ভোট পেয়ে ৩য় ও আক্তারুজ্জামান (মই প্রতিক) ৯৮ ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থান লাভ করে বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মিনারা খাতুন (কলস প্রতিক) ১১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বাকী বিল্লাহ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, সাবেক সভাপতি জিএম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক