আম্পানে সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে হাজারও গ্রাহক:  জিএম এর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ 

প্রকাশিত: ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০ | আপডেট: ১১:৫৩:অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০
সাতক্ষীরায় আম্পানের আঘাতের পর থেকে বিদ্যুৎতের চরম ভোগান্তিতে হাজারও গ্রাহক। জেনারেল ম্যানেজার নিরব ভূমিকা নেওয়ায় এলাকার জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
 
জানা যায়,  সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষ কুমার সাহা যোগদানের পর থেকে চরম অবস্থাপনায় ও হেয়ালীপনায় দাড়িয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যেখানে রয়েছে প্রতিদিন মৃত্যুর ঝূঁকি। জিএম যোগদানের পর কারিগরি অবহেলায় ইতোমধ্যে ঝরে গেছে তাজা ৩টি প্রাণ। গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে রয়েছে চরম অসন্তোষ। এদিকে গত(২০মে) ঘূর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে সকাল থেকে বিদ্যুৎ চলে গেলেও ৮দিনেও নিশ্চিত হয়নি শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
 
বিদ্যুৎ বোর্ডের চেযারম্যানের নির্দেশ আম্পানের পর ২দিনের মধ্যে  গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চালু করার কথা থাকলেও সাতক্ষীরার চিত্র সম্পুর্ন ভিন্নরুপ । সদর দপ্তর এলাকার ৩/৪ কিলোমিটারের মধ্যে এখনও বিদ্যুৎ লাইনের তার মাটিতে পড়ে আছে। তাহলে ৮ হাজার কিলোমিটার লাইনের কি অবস্থা, তা সহজেই নিরূপণ করা সম্ভাব।
 
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ এর খুটি, তার পড়ে আছে। জেলার অনন্যা এলাকায়ও একই অবস্থা। এদিকে একটি কুচক্রী মহল ও কিছু অসাধু  ইলেক্ট্রিশিয়ান  লাইনম্যানদের যোগসাজশে গ্রাহকদের দ্রুতবিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার নামে  হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধ অর্থ। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেওয়ায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জেনারেল ম্যানেজারে কানে গেলে নামমাত্র ২দিন মাইকিং করে তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
 
এদিকে আম্পানের পর ২য় দিনে পাটকেলঘাটা  সদরদপ্তর এলাকা বড়বিলা গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে আবারও মৃত্যুর শিকার হয়েছে আলিমুল ইসলাম(২২) নামের এক লাইনম্যান(চুক্তিভিত্তিক)। এটি মৃত্যু নাকি সুপরিকল্পিত হত্যা? সেটি নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। বন্ধ করা লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে কিভাবে মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে রয়েছে জনমনে চরম ক্ষোভ।
 
একইভাবে চলতি বছরের গত(২৩ জানুয়ারী) সদর দপ্তর এলাকার পুটিয়াখালী গ্রামে বন্ধ করা লাইনে দৈনিক মজুরী হারে কাজ করা শ্রমিককে বিদ্যুৎ এর খুটির উপরে তুলে দেন কিছু দ্বায়িত্বে অবহেলাকারী লাইনম্যানরা। ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে ফারুক নামের এক কিশোর। এ ঘটনার কিছুদিন পূর্বে দিনমজুরী হারে কাজ করা আরও একটি প্রাণ বিদ্যুতের লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে ভাড়ুখালী এলাকায় মারা যায়।
 
কিন্তু সুচতুর এ জিএম তার অবৈধ টাকার জোরে সবকিছু মিটিয়ে ঐ হত্যাযজ্ঞ থেকে সেই যাত্রা  পার পেয়ে যায় । এদিকে  খলিষখালী ও বড়বিলা থেকে বারবার বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েও ৬দিনেও বিদ্যুৎ সেবা পাইনি ঐ এলাকার গ্রাহকরা। এনিয়ে এলাকার জনমনে চরম হতাশা বিরাজ করছে। 
 
বিষয়টা নিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, অপরপ্রান্ত থেকে এজিএম পরিচয় দিয়ে বলেন, স্যার অসুস্থ উনি রেষ্টে আছেন। বিদ্যুৎ সেবা কবে শতভাগ চালু হবে তা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চেষ্টা করছি, খুব দ্রুতই আশা করি লাইন পাবেন।

আপনার মতামত লিখুন :

কিশোর কুমার। নিজস্ব প্রতিবেদক। পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা