আজ কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব’র ৮৫তম মৃত্যু বার্ষিকী

প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০ | আপডেট: ৭:০৭:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
আজ শনিবার দক্ষিণ খুলনার মহা দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর ৮৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও জ্ঞান পিপাষু ব্যক্তি। তাঁর স্পর্শে কপিলমুনিতে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য জনহিতকর প্রতিষ্ঠান।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানাযায়, বাং ১২৯৬ সনের ২৬ বৈশাখ; তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বর্তমান খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের অজপাড়া গাঁ কপিলমুনিতে তাঁর জন্ম। পিতা যাদব চন্দ্র সাধু সাধু, মাতা সহচরী দেবী, শৈশব ও কিশোর জীবন পেরুতে না পেরুতেই তাঁর সমাজ সাধনার দিন শুরু হয়। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজেকে ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলেন, তৎকালীণ সময়ে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে তিনি কলকাতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে কপিলমুনির উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। তাঁর ব্যবসায়ীক উপার্জনের পয়সা দিয়ে বৃহত্তর কপিলমুনির মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন। মায়ের নামে সহচরী বিদ্যামন্দির (বর্তমানে স্কুল এন্ড কলেজ), ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভরত চন্দ্র হাসপাতাল, যা তৎকালীণ ভারতের বীর বাহাদুর যদুনাথ সরকার কর্তৃক দারোদ্ঘাটিত হয়। পাশাপাশি এলাকার মানুষের বেকারত্ব ঘুচাতে প্রতিষ্ঠা করেন অমৃতময়ী টেকনিক্যাল স্কুল। তাঁর সমাজ সেবার পুরস্কার হিসেবে তৎকালীন সরকার তাঁকে রায় সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন।

জানাযায়, মাত্র ৪৫ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষণ সমাজ তথা মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। যখন খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা ছিল না তখন তিনি কপিলমুনি বাজারকে আলোকিত করতে সুদুর কলকাতা থেকে জেনারেটর এনে তার মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করেন। এলাকার মানুষের সুপেয় পানি পান করানোর জন্য তিনি খনন করেন ‘সহচরী সরোবর’ নামে একটি বৃহৎ পুকুর (বর্তমানে বালির মাঠ)। ক্ষনজন্মা এই মহা মনিষীকে অত্র এলাকার সকল মানুষ মহা মানব হিসেবে স্মরণ করে থাকেন। তাঁর নিজ অর্জিত টাকায় ক্রয়করা প্রায় ৫০একর সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিনোদগঞ্জ’ যা এখন কপিলমুনি বাজার নামে দেশ বিদেশে ব্যাপক পরিচিত। হাসপাতাল, খেলার মাঠ ও বিনোদনের জন্য পাবলিক স্টেডিয়াম সবই তাঁর স্মৃতি বহন করে। তিনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় একই সময় প্রতিষ্ঠা করেন উৎকর্ষ সমিতি ও সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংক (বর্তমান বণিক সমিতি)। ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রয়োজনে উক্ত ব্যাংক থেকে অর্থ গ্রহন করতেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি স্ট্রেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় বহু টাকা সঞ্চয় করেন, কিন্তু দেশ ভাগের পর তার রাখা অর্থ ফেরৎ পাওয়া যায়নি। তাঁর স্মরণে আজ কপিলমুনির কয়েকটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক