অন্ননালীহীন শিশু সাতক্ষীরার শোভন: নাভির ছিদ্র দিয়ে খাবার দিতে হয়!

প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০ | আপডেট: ১২:২০:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শাহরিয়াজ হোসেন শোভন। শিশুটির বয়স মাত্র ১৩ মাস। ওর আধো আধো কথা শুনে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মায়াবি চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায়। ক্ষুধা পেলে অন্য শিশুর মতোই কাঁদে। তবে অন্য শিশুর মতো শোভন খেতে পারে না।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মুখ দিয়ে খাওয়ার সুযোগ নেই তার। জন্ম থেকেই শোভনের অন্ন নালী না থাকায় বিকল্পভাবে নাভির বরাবর ছিদ্র দিয়ে নলের সাহায্যে তরল খাবার খেয়ে বেঁচে আছে শাহরিয়াজ হোসেন শোভন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের শরীফ হোসেন জানান,রাজধানী ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও তার অন্ন নালী প্রতিস্থাপন করতে পারেননি।
তাই শিশু শোভনকে ভারতের ভেলুর কিম্বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। শিশু শোভনকে অন্ন নালী স্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বিদেশে চিকিৎসা করাতে ও প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে দরকার কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে শাহরিয়াজ হোসেন শোভনের পিতা-মাতা।
শাহরিয়াজ হোসেন শোভনের মা গরীব অসহায় শারমিন সুলতানা জানান,বিগত ১৩ মাস ধরে শোভনের চিকিৎসা ও খাদ্য কিনতে গিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন তারা। সামান্য জায়গা জমি যা ছিল তা সন্তানের সু-চিকিৎসায় ঘুচিয়ে ফেলেছন। এখন তাদের এমন অবস্থা যে সন্তানের দুধ কেনার পয়সার জন্য অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। কিন্তু এভাবে হাত পেতে আর কতদিন তাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে তা অনিশ্চিত।

শারমিন সুলতানা আরো বলেন, প্রতিদিন সন্তানের জন্য কারো না কারো কাছে সাহায্যের হাত পাততে হয়। কোন কোন দিন ভাতের ফ্যান (মাড়) খাওয়াতে হয়। ক্ষুধা লাগলে সন্তানের কান্না মা হিসেবে সহ্য করা যে কত কষ্টের তা মা ছাড়া আর কেউ জানে না। তিনি ছেলের চিকিৎসায় সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছন। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবটুকু সম্পদ বিক্রি করেছেন। এখন কিছুই নেই। তাই শোভনের চিকিৎসা ও খাদ্য কিনতে আজ সমাজের বিত্তশালী দয়ালু ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
শাহরিয়াজ হোসেন শোভনের চিকিৎসায় আপনিও সাহায্য পাঠাতে পারেন। জন্য ০১৯৩০৫৭০২১৯ (বিকাশ) নম্বরে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন শোভনের অসহায় পিতা-মাতা।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক