অন্ধকারের মোচড়ানো মলাট

প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৩৪:অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০১৯
হারুণ-অর-রশীদ:
অতঃপর ঘুমন্ত শরীর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসে অন্ধকার
চারপাশে পাথরের দেয়াল হয়ে দাড়িয়ে থাকে  সময়
ভিতরে মৃত মহিষের হাড়ের খড়খড় অথচ-
কুকুরের লালার মতো তরল আদ্রতা নখে।
চারিদিকে বরফের মতো শীতল চোখ
সাদা এপ্রোণে মোড়ানো মৃত্যুর মতো নিরবতা
মৃতদেহের কঙ্কাল থেকে উৎপন্ন খাঁটে শুয়ে আছি
আমার চারপাশে দূষিত নদীর আর্তনাদ
চিলের ঠোঁটে ঝুঁলে আছে অধূনা আকাশ
বুকের মাংস খুবলে নেয় যাযাবর শকুন।
আমি জেগে উঠি অথচ চোখ ভর্তি ঘুমের কোরাস
শেকলবদ্ধ পায়ে যাতনার বটমূল
বেড়েই চলেছে দীর্ঘশ্বাসের শেকড়
আমার হাত উড়ে যাচ্ছে
ওপারে কালো মেঘ
আঙ্গুলের ডগায় নেমে আসছে দূর্ভিক্ষের শ্রাবণ।
বাতাসের লোলুপ দৃষ্টিতে পুড়ে যাচ্ছে স্বর্গের ঘাস
মেঘের বালিকারা ভুলে গিয়ে রোদের আশ্বাস
শালুকের বনে ছড়িয়ে দিচ্ছে অভিশপ্ত রাতের সংঘাত
আমি ঘুমিয়ে আছি, বেড়ে যাচ্ছে সময়ের নখ
দীর্ঘ হচ্ছে মৃত মানুষের হাড়-কঙ্কাল
কঙ্কালের ভিতর জেগে আছে মাণচিত্র
পৌঢ়ত্বের শিরার মতো ক্লান্ত-দূর্বল।
মানচিত্র জুড়ে মানসিক হাসপাতাল
 চারপাশে বরফের দেয়াল
আমাকে বন্দী করেছে সময়
আমাকে জাপটে ধরেছে ধর্মের নখ
আমাকে কিনে নিয়েছে পুঁজিবাদ
যেন আমি এক লোভনীয় মাছ!

আমাকে মুঠোবন্দী করেছে রাজনীতি

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস
আমাকে কেটে ফেলছে রাষ্ট্রের ধারালো আইন
আমাকে টুকরো টুকরো করছে রাষ্ট্র যন্ত্র
আমার মানবিকতাকে ধুয়ে ফেলছে সভ্যতার ঘোলা জল।
অতঃপর,
 স্বার্থের চুলায় জ্বালানো হয়েছে আগুনের উপহাস
আমার জন্য প্রতিক্ষায় শোষনের কড়াই
আমাকে নিঃশ্বেষ করছে সময়ের ঘাণি
 বোতলবন্দী হচ্ছে স্বপ্নের গলিত অঙ্গার
আমি নিঃশ্বেষিত হাওয়ার পাজড়ে ফু দিয়ে
ঢেকে দিচ্ছি অন্ধকারের মোচড়ানো মলাট।

আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক