পাইকগাছার লতায় বনায়নের জায়গা দখল করে চিংড়ি ঘের

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৯ | আপডেট: ৮:১৬:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
সামাজিক বনায়নের চর ভরাটি জমি দখল করে চিংড়ি ঘের করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দখলকারীরা পরিকল্পিত ভাবে নাফনা ও কোদাল দিয়ে গোল ঝাড় নষ্ট করে দিচ্ছে। কেটে ফেলছে বনায়নের গাছ। সুফল ভোগীদের অভিযোগ উপজেলা বন কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছেনা।
সরেজমিনে জানাগেছে, ২০১৪-২০১৫ সালে উপজেলার লতা ইউপির হাড়িয়া মৌজার ১৮/১৯ নং পোল্ডারে হাড়িয়া পুরাতন খেয়াঘাট হতে দক্ষিণে হাড়িয়া পাকা ঘাট পর্যন্ত শিবসা নদীর চর ভারটি প্রায় ১০০ বিঘা সরকারি জমিতে সবুজ বনায়ন গড়ে ওঠে। এখানে গোলপাতা, কেওড়া, বাইন, কাকড়া, সুন্দরী, ওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। বনভূমি সংরক্ষণ ও গবাদীপশু নিয়ন্ত্রনের জন্য সাবেক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দিন সরজমিনে যেয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। আজও তা সংরক্ষিত আছে এবং বর্তমান এ বনভুমি মিনি সুন্দরবনের আকার ধারণ করেছে। এ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে।
এদিকে হাড়িয়া চর বনায়ন সমিতির সভাপতি গৌতম রায় ও সম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস বাবু অভিযোগ করেছেন চলতি বছরের মে মাসে ও তার পূর্বে উপজেলার মঠবাটী গ্রামের ছইল উদ্দিন সরদার, ঘোষাল গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজী ও খবির গাজী,রেজাউল ইসলাম দু’দফায় বনায়নের বড় একটি অংশ জমিতে বাঁধ দিয়ে দখল করে নিয়ে চিংড়ি ঘের করছে। জানাগেছে বর্তমানে ডিড নিয়ে উপজেলার ঘোষাল গ্রামের এমদাদুল নামের এক ব্যক্তি চিংড়ি ঘের পরিচালনা ককরছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ইতোপূর্বে পরিবেশ বন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সর্বশেষ ২৭ মে ২০১৯ ইং তারিখে খুলনা ৬ (পাইকগাছা -কয়রার) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবুর কাছে অভিযোগ করেন। এর প্রক্ষিতে এমপি বাবু তদন্ত পূর্বক আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নির্দেশনা দেন। ইউেনও এ ঘটনায় ওসি ও উপজেলা বণ কর্মকর্তা কে ব্যবস্থা নিতে বল্লেও আজও তার প্রতিকার মেলেনি।
হাড়িয়া সামাজিক বনায়ন সমিতির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সদস্য কামরুল হাওলাদার, ফজলু হাওলাদার ও রাবেয়া বেগম বলেন, নাফনা ও কোদাল দিয়ে গোল ঝাড় নষ্ট করে দিচ্ছে তেমনি কেঁটে ফেলছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। অন্যদিকে লবণ পানি আটকে থাকায় বিভিন্ন গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ঘের মালিক এমদাদুল হক বলেন আমি ডিড নিয়ে ঘের করছি। তিনি এর বাইরে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
তবে বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন বনায়নের সময় কেউ সম্পত্তি দাবী করেনি কিন্তু এখন দখলদাররা তাদের সম্পত্তি দাবী করছে। তিনি আরো বলেন এমপির কাছে অভিযোগ ও থানায় বসাবসি হলে জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হলেও আজো তার বাস্তবায়ন হয়নি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক