চুকনগরে মূল সনদ থাকার পরও ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে চাকুরীচ্যুত পবিসের মিটার টেষ্টার প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯ | আপডেট: ৯:০২:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা): চুকনগরে মূল সনদ থাকার পরও কতিপয় প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক মিটার টেষ্টার। বর্তমানে চাকুরী হারিয়ে বৃদ্ধ পিতামাতা ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন সহ দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পুরো পরিবার। এঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় ৮৪২নং একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। জানা যায় নিয়োগ কমিটি, পুলিশ ভেরিভেকিশন, ডাক পিয়ন ও কিছু দালাল চক্রের কারণে তিনি আজ চাকুরীচ্যুৎ হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগ ও কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামের মোঃ নিছার আলী শেখের পুত্র মোঃ আব্দুস সাত্তার গত ২০০৭সালে ম্যাসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) পদে খুলনা পবিসে চাকুরী পায়। ভৌগলিক এলাকার পরিবর্তন করে চাকুরী করার জন্য ২০০৮সালে যশোর পবিস-১-এ মিটার রিডার (চুক্তিভিত্তিক) পদে তিনি আবেদন করেন। কিন্তু তিনি লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও মৌখিক পরীক্ষা দেননি। তার আবেদন হতে নিয়োগ কমিটি অথ্যাৎ তৎকালীন এজিএস (জিএস) আবু আনাস মোঃ নাসের (বর্তমানে তিনি যশোর পবিস-২-এ ডিজিএম হিসাবে কর্মরত আছেন) তিনি আলস সাত্তারের ছবি পরিবর্তন করে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার দশকাহনিয়া গ্রামের মতলব শেখের পুত্র মোঃ আব্দুস সাত্তারকে চাকুরীতে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়। যা তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান উপ পরিচালক এর তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। এদিকে ৮ম শ্রেণী পাশ নকল আব্দুস সাত্তার চাকুরী প্রাপ্ত হওয়ার পর পরবর্তীতে যশোর পবিস-১এর প্রত্যায়ন নিয়ে মুন্সিগঞ্জ পবিসে চাকুরীতে নিয়োগ পান। ২৬ডিসেম্বর আসল আব্দুস সাত্তারের এসএসসি পাশের ডুপ্লিকেট সনদ উত্তোলন করে বোর্ড থেকে। এদিকে যে দিন বোর্ড থেকে আসল আব্দুস সাত্তারের ডুপ্লিকেট সনদ উত্তোলন করা হয় সেদিন তিনি ঢাকা পবিস-১-এর জোনাল অফিস আশুলিয়ায় কর্মরত ছিলেন। মুল সনদ থাকার সত্ত্বেও আসল আব্দুস সাত্তার বর্তমানে চাকুরীচ্যুৎ। এদিকে অবৈধভাবে মুন্সীগঞ্জ পবিসে মিটার রিডার কাম ক্যাসেঞ্জার চাকুরীরত নকল আব্দুস সাত্তার গত ১৯মার্চ ঘটনাটি জানতে পারার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। এব্যাপারে বরাতিয়া পোষ্ট অফিসের ডাক পিওন শ্যামল দেবনাথ বলেন, প্রায় ১বছর আগে আব্দুস সাত্তারের নামে একটি নিয়োগ পত্রের রেজিষ্ট্রি চিঠি মুন্সিগঞ্জ পবিস থেকে এসেছিল। কিন্তু সেটা স্থানীয় আসাদুজ্জামানের চাপে পড়ে ডুমুরিয়া উপজেলার আসল সাত্তারকে না দিয়ে কেশবপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারকে তিনি দিয়ে দেন। এভাবে একজনের নিয়োগ পত্র অন্যজনকে দেয়ার কোন বিধান তার চাকুরীতে আছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার চরম ভুল হয়েছে। আমি একজন নিরীহ মানুষের একটা বড় ক্ষতি করে দিলাম। এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার পরিতোষ কুমার রাহা বলেন, কোন পিওন রেজিষ্ট্রি করা চিঠি অন্য কোন ব্যক্তির কাছে হস্থান্তর করলে সেটা আমাদের চাকুরী বিধি অনুযায়ী অনেক বড় অন্যায় হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর সংবাদটি পড়া হয়েছে ৪১৬ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু