চুকনগরে ২বছর ধরে ভোগদখলকৃত মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ

প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগরে জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দীর্ঘ ২বছর ধরে ভোগদখলকৃত মৎস্য ঘেরের মাছ লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গত ৩দিনে প্রায় ৫/৬লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার বয়ারসিং মৌজায় সড়কখালি বিলে জমির মালিকদের কাছ থেকে লীজ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মুড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত অনিল কৃষ্ণ বিশ্বাসের পুত্র অসীম বিশ্বাস ও চ্যাংমারী গ্রামের মৃত কিরণ সরদারের পুত্র কার্তিক সরদার প্রায় ৩০বিঘা জমিতে গত ২বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। যথা সময়ে তাদের হারীও পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু তাদের মৎস্য ঘেরের ভিতরে সড়ক খালি জল মহল নামে একটি সরকারী খাস খাল আছে। জল মহলটি তাদের চিংড়ি ঘেরের ভিতরে দখলে থাকার কারণে ঘের মালিক পক্ষ এটি ইজারা নেয়াসহ রাজস্ব দেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনও করেন। কিন্তু ঘেরে মাছ থাকা অবস্থায় হঠ্যাৎ করে উক্ত জলমহলটি চ্যাংমারী গ্রামের বিনোদ বিহারী মন্ডলের পুত্র স্বপন মন্ডলকে ইজারা দেয়া হয়েছে। ঘের মালিক কর্তৃপক্ষকে মাছ মেরে নেয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি। আর এ সুযোগে স্বপন মন্ডল উক্ত জল মহল ও হারি নেয়া জমিও জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। তিনি শুধু মৎস্য ঘেরটি দখল করেও ক্ষান্ত হননি। গত দুই দিনে রাত দিন জাল টেনে প্রায় ৫/৬লক্ষ টাকার মাছ মেরে নিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার সঞ্জীব দাসকে জানানো হলে তিনি উভয় পক্ষকে মাছ না মারার জন্য নির্দেশ দেন। এব্যাপারে স্বপন মন্ডল বলেন, তিনি ইজারা নিয়ে মাছ মারছেন। কিন্তু মাছ ছাড়া বা ব্যক্তি মালিকানা জমির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সন্তোষজনক উত্তর না দিয়ে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন। ঘের মালিক কার্তিক সরদার বলেন, যেহেতু জলমহলটি আমাদের মৎস্য ঘেরের ভিতরে সেহেতু আমরা এটি গত দুই বছরে ইজারা নেয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের ইজারা না দিয়ে এই ভরা মৌসুমে ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ থাকার পরও অন্য ব্যক্তিতে ইজারা দেয়া হয়েছে। এমনকি আমাদের মাছ মেরে নেয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি। তাই আমরা বিষয়টি এসিল্যান্ড স্যার জানালে তিনি একটি সুষ্টু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে মাছ না মারতে নির্দেশ দেন।
সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর