চুকনগরে পৈত্রিক জমিতে মৎস্য ঘের কেটে বিপাকে এক ব্যক্তি

চুকনগরে পৈত্রিক জমিতে মৎস্য ঘের কেটে বিপাকে পড়েছে এক ব্যক্তি। এঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যমে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের রুহুল আমীন শেখের পুত্র আব্দুল হাই শেখ বলেন, কাঁঠালতলা মাগুরখালি সড়কে ১৭/১ পোল্ডারের কুলবাড়িয়া স্লুইচ গেটের নিকটবর্তী তাদের কুলবাড়িয়া বরাতিয়া মৌজায় ৭১৯৯দাগে ১৯শতক ও ৭২১৭দাগে ২একর ৯০ পৈত্রিক জমির উপর (বাদাকাটা) মাছ চাষ করার জন্য মৎস্য ঘের কাটছেন তিনি। তারা স্কেভেটর দিয়ে ঘের কাটার সময় ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা যাতে প্লাবিত হতে না পারে সে জন্য নদীর পাশে বড় করে বাঁধ দিয়ে দিয়েছে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার রাস্তা যাতে ধসে পড়তে না পারে সে জন্য রাস্তার পাশে ১৫/২০ লম্বা করে (আড়াআড়িভাবে) আরও একটি ভেড়িবাঁধ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে একটি মহল তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করছে।
এব্যাপারে রুহুল আমীন শেখ বলেন, আমাদের চৌদ্দ পুরুষের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে (যার প্রতিবছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার মাধ্যমে) আমার পুত্র ঘের কাটছে। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তি তাদেরকে হয়রানী করছে। তাছাড়া কোন মাটি বিক্রয়ও করেনি।
আল্লাহর দান ব্রিকস্ মালিক আজিজুর রহমান মোড়ল বলেন, আমরা জমির মালিকের কাগজপত্র দেখে ঘেরটি কাটার চুক্তি নেয়। কিন্তু ঘেরের চতুর পাশ মজবুত করে বাঁধ দেয়ার পর সামান্য কিছু মাটি ঘেরের ভিতরে থেকে যাওয়ায় সেগুলো কোন টাকার বিনিময় ছাড়াই জমির মালিকের অনুমতি নিয়ে আমার ভাটায় এনেছি। কিন্তু শুধুমাত্র সামাজিকভাবে হয়রানী করার জন্যই আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাসনাতুজ্জামান বলেন, যদি জমিটি পাউবোর হয় তাহলে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।