৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি হদুবুনিয়ার দু’কিশোরের

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯ | আপডেট: ৯:২৩:অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯

পাইকগাছা(খুলনা) সংবাদদাতা:
পাইকগাছার পার্শ্ববর্তী কয়রার হদুবুনিয়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ দু’কিশোরের গত ৩ দিনেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। নানা উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে ছেলেদের সন্ধান না পাওয়ায় পাগল প্রায় নিখোঁজদের পরিবার। নিখোঁজ নবদ্বীপ সানা (১৩) কয়রার হদুবুনিয়া গ্রামের তরুন সানার ছেলে ও শচীন্দ্রনাথ মন্ডল (১৪) একই উপজেলার চৌকুনী গ্রামের বকুল মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় কয়রা থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। নবদ্বীপ ও শচীন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নবদ্বীপের পিতা তরুন সানা জানান, আমার একমাত্র ছেলে নবদ্বীপ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র প্রতিদিনের ন্যায় সে ৮ মে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাগবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর আমাদের বাড়ীতে বেড়াতে আসা ফুফাতো ভাই নবম শ্রেণি পড়–য়া শচীনকে সাথে নিয়ে বাড়ীর পাশের কাঠালতলা বাজার সংলগ্ন কয়রা নদীর ধারে ঘুরতে যায়। রাত ১০টার দিকে ভাত খাওয়ার সময় তাদেরকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। সেই থেকে গত ৩দিন এমন কোন জায়গা নেই যেখানে খোঁজ করি নাই। কিন্তু কোথাও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নবদ্বীপের কাকীমা জবা রাণী জানান, রাত ৮টার দিকে ওরা যখন ঘুরতে যাই সর্বশেষ আমার সঙ্গে ওদের দেখা হয়। শচীনের বড় বোন শতাব্দী জানান, চারিদিকে নানা গুঞ্জন ও আতংক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে ৩দিনেও নিখোঁজ ২ ভাইয়ের সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সবাই প্রতিটি মুহুর্ত উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। এলাকার আবু তালেব শেখ জানান, ১০ বছর পূর্বে এলাকা থেকে ৫/৭ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। এরপর হঠাৎ গত বুধবার রাত ৮টার পর থেকে এলাকার ২ কিশোর ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনছি। নিখোঁজ নবদ্বীপের গায়ের রং শ্যামলা, মুখোমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, পরনে ছিল গেঞ্জি ও ট্রাউজার, অপরদিকে শচীনের গায়ের রং ফর্সা, মুখোমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা ৫ ফুট, পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও ফুলপ্যান্ট। কয়রা থানার সাধারণ ডায়েরী নং- ৩৯৩, তাং- ১০/০৫/২০১৯ইং। সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যক্তি নিখোঁজ ২ কিশোরের সন্ধান পেলে তাদের পরিবার ও ওসি, কয়রা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক