হাতুড়ে নার্সের কবলে পড়ে দুই সন্তানের জননী মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে

প্রকাশিত: ৭:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০ | আপডেট: ৭:৫৭:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক হাতুড়ে নার্সের কবলে পড়ে দুই সন্তানের জননী সুষমা মন্ডল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মৃত গীরেন্দ্র নাথের ছেলে সঞ্জয় কুমার মন্ডল ওরফে খোকন। তিনি এ সময় তার অসুস্থ স্ত্রী সুষমা মন্ডলের সুচিকিৎসা ও এ ঘটনার জন্য দায়ী ওই নার্সের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে শ্যামনগরের মর্জিনা নামের এক হাতুড়ে নার্সের খপ্পরে পড়ে। মর্জিনা আমার স্ত্রীকে গত ১ জানুয়ারী ঔষধ খাইয়ে হাত দিয়ে তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট (এমআর) করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সে আমার স্ত্রীর নাড়ী ছিড়ে ফেলে। এরপর গুরুতর অসুস্থ সুষমাকে প্রথমে শ্যামনগর হাসপাতাল ও পরে শ্যামনগর রিডা প্রাইভেট হাসপাতাল, ঝাউডাঙ্গা সুজিত বাবুর ক্লিনিক ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা এই রোগীর অপারেশনে অপরাগতা প্রকাশ করে। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে গত ৬ জানুয়ারী সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাঃ শরিফুল ইসলাম তার অপারেশন করেন। বর্তমানে সুষমার পেটের নাড়ী বাইরে রেখে ড্রেসিং চলছে। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য এখন অনেক টাকার প্রয়োজন। অথচ আমি একজন অসহায় গরীব মানুষ। আমার বাড়িতে একটি ঘর ছাড়া বাড়তি কোন সম্পত্তিও নাই, যা বিক্রি করে স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ চালাবো। বর্তমানে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে আমার স্ত্রীর চিকিৎসা চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ঔষধের দোকানে ও হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বাকী পড়ে গেছে।

 

এমতাবস্থায় আমার দুটি সন্তানের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমি এ ঘটনায় গত ৭ জানুযারী শ্যামনগর থানায় নার্স মর্জিনার বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দেয়। পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড না করে মর্জিনার বাড়ি থেকে ঘুরে এসে বলেন, তার ছেলে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মর্জিনার ছেলে হাসপাতালে পৌছে দেবে। অথচ আজ পর্যন্ত তারা কোন খরচ তো দূরের কথা আমার স্ত্রীর খোঁজ খবর পর্যন্ত নেয়নি। তিনি আরো বলেন, অপারেশনের চার দিন পেরিয়ে গেলেও আমার স্ত্রীর এখনও জ্ঞান ফেরেনি। এমতাবস্থায় তিনি তার স্ত্রীর সুচিকিৎসা ও এ ঘটনার জন্য দায়ী হাতুড়ে নার্স মর্জিনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মানিকখালী সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরের সভাপতি সুভাষ মন্ডল।

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক