রাজগঞ্জে পেয়ারা চাষে অভাবনীয় সাফল্য

প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১ | আপডেট: ৭:০৭:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১

মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে কৃষক লিয়াকত আলী উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ করে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন। পেয়ার চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

কৃষক লিয়াকত আলী জানান, ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পেয়ারা চাষ করে ৭ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। উন্নত জাতের গাছ থেকে কম খরচে ১২ মাসই পেয়ারা পাওয়া যায়। প্রতিটি পেয়ারা আধা কেজি থেকে প্রায় এক কেজি ওজন হয়। একটি গাছ টানা সাত বছর ফল দেয়। আর পেয়ারা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। লিজ নিয়ে এক বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ করেছেন। চলতি বছরে তিনি ৭ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

মাসের পর মাস পেয়ারার বাগান পরিচর্যা করছেন। চালুয়াহাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক জানান, চলতি বছরে এক হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ হয়েছে। সাধারণ ফসলের চেয়ে পেয়ারার আবাদে ৩ গুণ লাভ হয়। লিয়াকত আলী নিজেই চারা তৈরি করে লাগানো শুরু হয়েছিল। গাছ লাগানোর ৯ মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ১৫০ টি ফল ধরে। কিন্তু গাছের সুরক্ষায় ছোট থাকতে তা ফেলে দিয়ে ২০-২৫ টি পেয়ারা রাখা হয়। ১২ মাস পেয়ারা ধরলেও শীত মৌসুমের পেয়ারায় দাম বেশি পাওয়া যায়। বর্ষাকালে পেয়ারার পোকা ও পচন রোধে সুষম সার প্রয়োগ করতে হয়।

এছাড়া পেয়ারার গায়ে পলিথিন জড়িয়ে দিতে হয়। এ জাতের গাছে কমপক্ষে সাত বছর সুস্বাদু পেয়ারা ধরে। অন্য ফসলের আবাদ ছেড়ে অনেক চাষি এখন উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর