রাজগঞ্জে গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে: বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০ | আপডেট: ৬:৫৮:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর(যশোর): মণিরামপুরের রাজগঞ্জে বেড়েই চলেছে গো-খাদ্যের দাম। এতে গরু পালনকারি সাধারণ কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, রাজগঞ্জ অঞ্চল অর্থাৎ পশ্চিম মণিরামপুর অঞ্চলে প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই কৃষকরা গরু পালন করে। তাতে করে কৃষকদের বাড়িতে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার গরু আছে। এসব গরুকে খড়ের (বিছোলি) পাশাপাশি নিয়মিত খোল, গমের ভুসি, চালের খুদ, চালের কুঁড়া, সয়াবিনের খোল, ভুট্টারগুড়ো ও বুটের খোসা খাওয়ানো হয়। কিন্তু গত ৮/১০ দিনের ব্যবধানে ভুসি, ভুট্টারগুড়ো ও বুটের খোসার দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আর খড়ের (বিছোলি) দাম কাউনপ্রতি বেড়েছে ১৫শ’ টাকা। রাজগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন গো-খাদ্যের দোকাননীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে গো-খাদ্য গমের ভুসি প্রতিকেজি ছিলো ৩২ টাকা এখন ৩৪/৩৫ টাকা, চালের খুদ ২৪ টাকা প্রতিকেজি ছিলো এখন ২৮ টাকা, সয়াবিনের খোল ৩৪ টাকা প্রতিকেজি ছিলো এখন ৪০ টাকা, ভুট্টারগুড়া ২২ টাকা প্রতিকেজি ছিলো এখন ২৮ টাকা, চালের কুঁড়া ১০ টাকা প্রতিকেজি ছিলো এখন ১২/১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রাজগঞ্জ এলাকার অনেক গরুর মালিকেরা বলেন, গৌ-খাদ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। এনিয়ে খুব বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
হানুয়ার গ্রামের মশিয়ার রহমান নামের একজন কৃষক বলেন, ‘ভাই গরু-বাছুর নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ভুসি, ভুট্টারগুড়োসহ খাদ্যের দাম বাড়তেই আছে। চাহিদা অনুযায়ী গরু-বাছুরদের খাবার দিতে পারছি না। এ জন্য গরুর স্বাস্থ্য শুকিয়ে যাচ্ছে, আবার দুধও কম হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ালে সাধারণ কৃষক ও খামারিদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। কেন এভাবে দাম বাড়ছে, তা খোঁজ করে দেখা উচিত এবং দাম কৃষকদের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রাখতে হবে।
এদিকে, কৃষকরা বলছে, সিন্ডিকেট বাজারে গো-খাদ্যের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে। সরকারীভাবে বাজার মনিটরিং করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক