রাজগঞ্জে গৃহিনীরা ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরিতে ব্যস্ত

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২১ | আপডেট: ৯:২৯:পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
বড় মাছের যে স্বাদ, এর সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ বেশি হয়। আবার কোলইয়ের তৈরি কুমড়ো বড়ি আর ডাল রান্না দিয়েই পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভর্তা করলে, এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে।
 
এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বডির স্বাদই আলাদা। স্বাদের কারণে কুমড়ো বড়ি তরকারির সাথে খাদ্য তালিকায় জনপ্রিয় বেশি। তাই মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিমের রাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের মা-চাচিরা শীতকালে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে থাকে। রাজগঞ্জের মোবারকপুর, ঝাঁপা, হানুয়ার, খালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে দেখা গেছে নারীরা খুব মনোযোগ দিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে, কাপড়ের উপর সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকাচ্ছেন। কেউ বাড়ির ছাদে আবার কেউ মাঠের মধ্যের রোদে কুমড়ো বড়ি শুকাতে দিয়ে পাশে বসে নকশীকাঁথা সেলাই করছে। শীতকালে এ এক অন্য রকম পরিবেশ।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হানুয়ার গ্রামের কয়েকজন গৃহিনীরা জানান- কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন কোলইয়ের ডাল, চালকুমড়ো, কালি জিরা ও মসলা। গৃহিনীরা আরো জানান- চাল কুমড়ো ও কোলইয়ের ডালসহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের নারীরা মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে জাতায় বাটা হয়। এরপর গামলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো কোলইয়ের ডাল ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশালে, সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে ছোট ছোট টুপলা করে পানি ঝরানো হয়।
 
ভালো করে পানি ঝরানো হলে সব উপাদান এক সাথে মিশিয়ে বসে বসে তৈরি করা হয় কুমড়ো বড়ি। এ কুমড়ো বড়ি তরকারির সাথে খুব মজা লাগে। হানুয়ার গ্রামের আসাদ মোড়ল বলেন- এই শীতে কুমড়ো বড়ির স্বাদই আলাদা। যা প্রতিটি ছোট বড় মাছের সাথে খুব মজা করে খাওয়া যায়।
 
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন- এ এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা আটা-ময়দা দিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরি করে রাজগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না।
 
বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর