মণিরামপুর টু রাজগঞ্জ ১০কি:মি: রাস্তার পিঁচ ঘেঁসা বড় বড় গাছই দূর্ঘটনার মৃত্যুর ফাঁদ

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০ | আপডেট: ৫:৫৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী: রাস্তার পিঁচ ঘেঁসা বড় বড় গাছই হলো সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ফাঁদখী। গত কয়েকদিন আগে গাছের ধাক্কায় মটরসাইকেল চালকের মৃত্যুর পর উক্তিটি ব্যক্ত করেছেন মণিরামপুর টু রাজগঞ্জ রাস্তার পথচারীরা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা গেছে- গত কয়েক বছরের মধ্যে এই রাস্তায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে যত লোকের মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশই গাছের সাথে ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। দেখা গেছে- যশোরের মণিরামপুর উপজেলা সদর থেকে পশ্চিমে রাজগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার মেইন রাস্তার পিঁচের গাঁ ঘেঁসে রয়েছে মেহগনি, রেন্টি, বাবলাসহ বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। আবার রাস্তার অনেক স্থানে পিঁচের ভীতরে রয়েছে গাছের গোড়ার অধৈকাংশ। অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গাছ পিঁচের রাস্তার উপর হেলে পড়েছে। ফলে অধিক জনবহুল ও যানবাহন চলাচলের ব্যস্ততম রাস্তার এহেন অবস্থার কারনে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। কোন প্রকার দূর্ঘটনা ঘটলেই গাছের আঘাতে জায়গায় মৃত্যু হচ্ছে। দেখা গেছে- ব্যস্ততম এই রাস্তায় চলাচল করে অধিক পরিমান ভাড়াই চালিত মটরসাইকেল। যার কারনে প্রায় শোনা যায় এই রাস্তায় মটরসাইকেল দুর্ঘটনার কথা। আর যখনই শোনা যায় দূর্ঘটনা তখনিই মৃত্যুর সংবাদ। কারন দু-চাকার গাড়ীটি দৃষ্ঠি এড়াতেই এদিক ওদিক হয়ে যায়। আর তখনিই পিঁচের সাথে দাড়িয়ে থাকা বড় বড় গাছের গুড়ের সাথে ধাক্কা খেতেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া হেলে থাকা গাছের কারনে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচলের সময় নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়।

এখানেও দূর্ঘটনার কারন ঐ গাছ। সব মিলে এই সড়কে যে সকল বড় বড় গাছ এমন অবস্থায় রয়েছে ঐ সকল গাছের কারনে বেশি বেশি দূর্ঘটনা ঘটে থাকে ও বেশি বেশি মৃত্যু হচ্ছে। সরকারী নির্ধারনে একটি রাস্তার পিঁচের দু’পাশে কমপক্ষে ৫/৬ ফুট করে ফাঁকা মাটির রাস্তা থাকে। যেখানে কোন গাছ গাছালি থাকে না। কারন ভারী কিংবা হাল্কা যানবাহন কুরাসিং করার সময় পিঁচের সাইড দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই রাস্তার পিঁচের সাইডে কোন ফাঁকা মাটির নাই, রয়েছে গাছে ঘেরা। যার কারনে প্রায়ই দূর্ঘটনা লেগেই চলেছে। সম্প্রতি রাজগঞ্জের ভাড়াই চালিত মটরসাইকেল চালক রফিক নামের ব্যক্তি এই রাস্তার মোনাহরপুর গ্রামের রাস্তার উপর এক শিশুকে বাঁচাতে যেয়ে পিঁচের ধারের মেহগনি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরন করেন। শুধু এই নয় এই রাস্তায় প্রতি বছর সামান্য দূর্ঘটনার গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ১০/১২ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই রাস্তার চন্ডিপুর গ্রামের ভানুর মোড় নামক স্থানের আশপাশে বাস, ট্রাক, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোভ্যানসহ যে কোন যানবাহন দূর্ঘটনার কবলে পড়লেই গাছের আঘাতে জায়গায় অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। পিঁচের ধারের এই সকল গাছের ধাক্কায় একের পর এক পথচারীদের মৃত্যু দেখে গত বছর অনেক গুলি গাছ কেটে ফেলেছেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মিলন। যার কারনে এই স্থানে এ বছর দূর্ঘটনার কবলে পড়ে কারোর মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য জানা যায়নি।

এ সকল বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষ ও সামান্য দূর্ঘটনায় পড়তেই গাছের ধাক্কায় মৃত্যুর দিকে তাকিয়ে পিঁচের ভীতরের, পিঁচের সাথে থাকা গাছ ও অতিরিক্ত হেলে থাকা গাছ গুলি কেটে পরিস্কার পরিছন্ন রেখে দূর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পথচারী ও আশপাশের সচেতন জনগন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক/মনিরামপুর(যশোর)

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক