মণিরামপুরে কৃষক হত্যা মামলা অর্ধমাস অতিবাহিত: প্রকৃত খুনিরা ধরা ছোয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০ | আপডেট: ১০:৫৪:অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

যশোরের মণিরামপুরের কৃষক নজরুল হত্যা মামলা অর্ধমাস অতিবাহিত হলেও মূল রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ফলে প্রকৃত খুনিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। উপজেলার তাজপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ৩০ মে বিকালে মাঠে ফসলী ক্ষেতের পানি নিস্কাশন করতে য়েয়ে খুন হয়। পরের দিন সকালে ক্ষেতের পাশে একটি ড্রেনে লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহ মূলক ভাবে ৩ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন এজাহার ভুক্ত আসামী করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ২দিন রিমান্ডে এনেও হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়- ৩০ মে বিকেলে একই সময় একই স্থানে মাঠের স্ব স্ব ক্ষেতের পানি বের করতে যায় গ্রামের নজরুল, আসাদুল ও মেহেদী। এদিকে ৩১ মে দুপুরে তাদের বাড়িতে গেলে আসাদুলের সাথে থাকা ভাইঝি ৬ বছরের শিশু কন্যা লামিয়া জানায় আমার কাকু হাত দিয়ে আইল কেটে পানি বের করে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বাড়ি চলে আসি। এ সময় মেহেদীও বাড়ি চলে আসে ও নজরুল মাঠে থেকে যায় বলে মাঠ সংলগ্ন বাড়ির মালিক মতিয়ার রহমান জানান। এদিকে গ্রামের ফারুখ হোসেন নামের এক বক্তি ঐ দিন সন্ধার পর আসাদুলের ভাই আশিকুরকে ঐ মাঠের দিকে যেতে দেখেছে বলে জানা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে আসাদুলের জমির ভীতরে জমানো পানি বের করার জন্য কোদাল দিয়ে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী নালা কাটাসহ অন্যন্য যে সব কাজ করেছে সেটি আশিকুর করেছে। আর ঐ পানি বের হচ্ছে নজরুলের জমির উপর দিয়ে। তখন নজরুল ও আশিকুরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় নজরুল খুন হতে পারে বলে ধারনা করছে গ্রামের অনেকেই।

এদিকে ঘটনার পরের দিন আশিকুরের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে আচমকা হয়ে যান তিনি। মুখ দিয়ে তেমন কোন কথা বেরইনি বরং চোখে মুখে ছিল ভীতকর ভাব। সেই দিন থেকে তার ব্যবহিত ০১৯৩২-০০২১৯৯ নম্বরের ফোনটি বন্ধ রয়েছে এবং সেই থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার ফোনের কল লিষ্ট যাচাই করলে বেরিয়ে আসতে পারে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য।

কথা হয় মাঠের ধারে বাড়ি মফিজুরের সাথে, তিনি বলেন হত্যাকান্ডটি যদি পানি নিস্কাশন নিয়ে হয়ে থাকে তাহলে যারা নজরুলের জমি দিয়ে পানি বের করতে গেছে তারাই এ ঘটনার জন্য দায়ী বলে আমি মনে করি। কথা হয় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক শাহাজান কবির এর সাথে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পাশের ঘটনা। ঘটনার পরের দিন থেকে আসাদুলের ভাই আশিকুর পলাতক। আমি মনে করছি সেই এই হত্যাকান্ডর সাথে জড়িত। না হলে সে পালাবে কেন। আমি মনে করি তাকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। নিহতের পরিবার সুত্রে জানায় প্রকৃত খুনি যেই হোক তার শাস্তি হলেই আমরা আত্নায় শান্তি পাবো।

এ বিষয়ে কথা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাহাবুল আলমের সাথে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, জোর তদন্ত চলছে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য অচিরেই উৎঘাটন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। নিজস্ব প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর